সীতাকুণ্ডে ওএমএসের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

শিশুদের নিয়ে ওএমএসের লাইনে নারীদের দুর্ভোগ। ছবিটি আজ রোববার দুপুরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌর সদরের যুব চত্বর এলাকা থেকে তোলা।
ছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় সরকারের খোলাবাজারে বিক্রির (ওএমএস) চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় ডিলার পরিচিতদের দেখে দেখে নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি চাল দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন লাইনে দাঁড়ানো ব্যক্তিরা। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ডিলারকে সতর্ক করেছেন।

আজ রোববার বেলা একটার দিকে উপজেলার পৌর সদরের যুব চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। তবে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডিলার শেখ বোরহান উদ্দিন।

সরেজমিনে দেখা যায়, লাইনে চাল নেওয়ার জন্য লোকজন দাঁড়িয়ে থাকলেও কয়েকজন ব্যক্তি লাইন না ধরেই চাল নিয়ে যান। ১২ বছরের প্রতিবন্ধী ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে ওএমএসের চাল-আটা নিতে এসেছিলেন হাসিনা বেগম। দুপুর ১২টার দিকে তিনি প্রথম আলোকে জানান, ‘সকাল আটটায় চাল সংগ্রহের জন্য এই লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম, এখনো এক জায়গাতেই দাঁড়িয়ে আছি। চাল পাইনি এখনো।’

নাজমা বেগম নামের এক নারী এসেছিলেন তাঁর দুই মাসের শিশুকন্যাকে কোলে নিয়ে। তিনি বলেন, ডিলার পরিচিতদের দেখে দেখে চাল দিচ্ছেন, কাউকে কাউকে ১৫ থেকে ২০ কেজি চাল দিতেও দেখা গেছে।

খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, সীতাকুণ্ডের চারটি স্থানে ওএমএসের চাল বিক্রি হয়। প্রতিদিন ২০০ নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে এক টন করে চাল ও আটা বিক্রি করা হয়। সপ্তাহে ৩ দিন জনপ্রতি ৩০ টাকা দরে ৫ কেজি চাল, ১৮ টাকা দরে ৫ কেজি আটা কিনতে পারেন।

পরিচিতদের বেশি চাল দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডিলার শেখ বোরহান উদ্দিন। তিনি জানান, উপজেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মচারী লাইন ভেঙে চাল নিয়েছেন। পাল্টা অভিযোগ করে তিনি বলেন, অনেক নারী আছেন, যাঁরা পরিবারের একাধিক সদস্য নিয়ে চাল সংগ্রহ করেন। পরে বাইরে বিক্রি করে দেন। তবে লাইনে এমন কেউ আছেন কি না, দেখতে চাইলে, তিনি দেখাতে পারেননি কাউকে।

সীতাকুণ্ড উপজেলার ইউএনও মো. শাহাদাত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ডিলারের সামনে নারী-পুরুষ সবাই অভিযোগ করতে থাকায় ডিলারকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাঁর লাইসেন্স বাতিল করা হবে।