সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক রাতে যানজট, সকালে স্বস্তি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে যানজট নেই। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সুলতানা মন্দির এলাকায়ছবি: কৃষ্ণ চন্দ্র দাস

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া গরুর হাটের কারণে গতকাল সোমবার বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের এই অংশে উভয় দিকে অন্তত ১০ কিলোমিটার যানজট ছিল। এ ছাড়া আরও চার স্থানে গাড়ি চলাচল করেছে ধীরগতিতে। কিন্তু আজ মঙ্গলবার ভোররাত থেকে মহাসড়কে কোথাও গাড়ির জট নেই।

গতকাল বাঁশবাড়িয়া গরুর বাজারটির নির্ধারিত স্থানে গরুভর্তি হয়ে যাওয়ার পর মহাসড়কের ওপরও গরু নিয়ে অবস্থান নেন বিক্রেতারা। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতার জটের প্রভাব পড়তে শুরু করে মহাসড়কে। একপর্যায়ে যানজট লেগে যায়। ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের ভোগান্তি কমানোর জন্য মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে হাইওয়ে পুলিশের ছয়টি দল কাজ করছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশ ৩৮ কিলোমিটার। এই ৩৮ কিলোমিটারের পাঁচ এলাকা যানজটের রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে সেখানে সতর্ক অবস্থানে আছে হাইওয়ে পুলিশ।

হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, সীতাকুণ্ডের পোর্ট লিংক কনটেইনার ডিপো, ভাটিয়ারী বাজার, বিএম কনটেইনার ডিপো, কেডিএস লজিস্টিক ও বড় দারোগাহাট ওজন স্কেল এলাকায় স্বাভাবিক সময়েও গাড়ি ধীরে চলতে গিয়ে হালকা জট লাগে। ঈদের সময়ে এই পাঁচ জায়গা তাদের ভাবিয়ে তুলছে।

স্থানীয় ব্যক্তিরা বলছেন, তিন দিন ধরে গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় এসব এলাকায় হালকা যানজট ছিল। তবে হাইওয়ে পুলিশ বলছে, গত দুই দিনে গাড়ির অত্যধিক চাপ থাকলেও আজ সকাল থেকে গাড়ির চাপ কিছুটা কমেছে। যার কারণে মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে কোথাও যানজট নেই।

গতকাল রাত ১০টার দিকে একটি ওষুধ কোম্পানির মেডিকেল প্রমোশন অফিসার আবদুল আলিম বলেন, তিনি চট্টগ্রাম থেকে সীতাকুণ্ডে ফিরছিলেন। প্রথমে তিনি ভাটিয়ারী বাজারের যানজটে পড়েন। তারপর বাঁশবাড়িয়ার যানজটে আটকা পড়েন বারআউলিয়া থেকে। ১০ কিলোমিটার যানজট এলাকা অতিক্রম করতে তাঁর এক ঘণ্টা লেগে যায়।

বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মহাসড়কে এখন কোনো যানজট নেই। স্বাভাবিক নিয়মে গাড়ি চলছে। গতকাল বাঁশবাড়িয়া গরুর বাজার যতক্ষণ ছিল ততক্ষণ যানজট ছিল। রাত ৯টার পর ধীরে ধীরে গাড়ি চলাচল করতে শুরু করে। ওসি বলেন, তিনটি কনটেইনার ডিপো ও ভাটিয়ারী বাজার এলাকায় গাড়িজট যাতে না লাগে, সে জন্য পুলিশের চারটি দল কাজ করছে।

কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক ফারুক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ঈদের সময় যাত্রীবাহী গাড়ির চাপ বেড়ে যায়। বড় দারোগাহাট এলাকায় ওজন স্কেলে মালবাহী গাড়ি পরিমাপের জন্য আলাদা করে ওজন স্কেলে ঢুকানোর সময় যানজট লেগে যায়। যানজট যাতে না লাগে, সেদিকে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।