সীতাকুণ্ডে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল দুই কিশোরী
বেসরকারি সংস্থা ইপসার কিশোরী ক্লাবের কর্মীদের তৎপরতায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের মুরাদপুর ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে দুই কিশোরী। রোববার বিকেলে উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন্নাহার ওই কিশোরীদের বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন। তাদের একজন দশম শ্রেণি, অন্যজন পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।
ইপসার কর্মী মোহছেনা মিনা প্রথম আলোকে বলেন, ওই দুই কিশোরী তাঁদের কিশোরী ক্লাবের সদস্য। কয়েক দিন আগে ওই দুই কিশোরীর বিয়ের খবর তাঁরা জানতে পারেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে কিশোরী ক্লাবের কর্মকর্তা শিউলি রানী দেবীসহ তিনি গিয়ে উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন্নাহারকে জানান। রোববার বিকেলে উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন্নাহার ওই কিশোরীদের বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন।
নাজমুন্নাহার প্রথম আলোকে বলেন, পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর মায়ের বিয়ে অন্যত্র হয়ে যাওয়ায় সে মামার বাড়িতে থাকত। মামা ও মামি মিলে তার বিয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। এ ছাড়া পরিবার দরিদ্র হওয়ায় দশম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ের ব্যবস্থা করেন তার পরিবার। পরে তিনি গিয়ে দুই কিশোরীর অভিভাবককে বুঝিয়ে বিয়ে বন্ধ করার ব্যবস্থা নেন। পাশাপাশি কিশোরীদের বড় হওয়া পর্যন্ত উপজেলা মহিলাবিষয়ক দপ্তর থেকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান তিনি।