ওই নারীর ভাষ্য, তাঁর স্বামী টিউবওয়েল–মিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করেন। এক বছর আগে তাঁর স্বামী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাতে যা ছিল তা খরচের পর আরও কিছু টাকার প্রয়োজন হয়। ওই সময় শওকতের কাছ থেকে চার হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। আট হাজার টাকা শোধ করার পরও বাকি দুই হাজারের জন্য শওকত তাঁকে নির্যাতন করেছেন।
বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জালাল আহমদ সিকদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সুদের টাকার জন্য এভাবে নির্যাতন মেনে নেওয়া যায় না। ঘটনাটি আমি পুলিশকে জানিয়েছি। শওকতকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক, যেন আর কেউ এমন সাহস না দেখায়।’
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মুহাম্মদ যুবায়ের বলেন, ভিডিওটি দেখার পরপরই পুলিশ অভিযান চালায়। ওই সময় শওকতের বাবা জহির আহমদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। শওকতকেও পুলিশ গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। তবে এখন পর্যন্ত ওই নারী এ বিষয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ দেননি।