সুনামগঞ্জে বন্যার্তদের ত্রাণ ও পশুর খাদ্য বিতরণ করছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় বন্যার্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী ও গবাদিপশুর খাদ্য বিতরণ করছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। রোববার শান্তিগঞ্জ উপজেলায় এসব বিতরণ করা হয়। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ঈদুল আজহা পর্যন্ত শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ত্রাণসামগ্রী ও পশুর খাদ্য বিতরণের কর্মসূচি নিয়েছে বলে জানান সংস্থাটির কর্মকর্তারা।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, বন্যার্ত মানুষের জন্য ১০০ মেট্রিক টন চাল, শুকনা খাবার ও গবাদিপশুর জন্য ১৩ মেট্রিক টন খাদ্য আছে। উপজেলার প্রায় এক লাখ পরিবারকে ত্রাণসহায়তা এবং ১ হাজার ৫০০ কৃষক পরিবারকে দেওয়া হবে গবাদিপশুর খাদ্য। একই সঙ্গে তাঁদের স্বাস্থ্যকর্মীরা বন্যার্ত ব্যক্তিদের নানাভাবে সেবা দিচ্ছেন। সেটাও অব্যাহত থাকবে।
ত্রাণ ও গবাদিপশুর খাদ্য বিতরণের সময় শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার উজ জামান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, উপজেলার পাগলা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালক লন্ডনপ্রবাসী আবদুল আউয়াল, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক হালিমুর রেজা, কৃষি ও সমবায় বিভাগের পরিচালক রঞ্জন কুমার মিত্র, মানবসম্পদ বিভাগের সহকারী কর্মকর্তা শাহনাজ পারভীন, গণশিল্পালয় বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আবুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক হালিমুর রেজা বলেন, সুনামগঞ্জ জেলায় ভয়াবহ বন্যার খবর পাওয়া মাত্র গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দিকনির্দেশনায় ৪১ সদস্যের একটি দল শান্তিগঞ্জে বন্যাদুর্গতদের জন্য শুকনা খাবার, নিত্যপ্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী, গবাদিপশুর খাদ্য ও জরুরি ওষুধ নিয়ে মাঠে আছে।
ইউএনও আনোয়ার উজ জামান বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ সরকারি-বেসরকারিভাবে উপজেলায় প্রচুর পরিমাণে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। বন্যার্ত মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।