সেই অ্যাম্বুলেন্সটি চালাচ্ছিলেন চালকের সহকারী
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে চাপা দিয়ে এক রোগীর প্রাণ কেড়ে নেওয়া অ্যাম্বুলেন্সটি চালাচ্ছিলেন চালকের সহকারী। তাঁর নাম সজীব আহমদ (২৬)। তিনি সিলেট সদর উপজেলার জাঙ্গাইল গ্রামের আবদুল সোবহানের ছেলে। হাসপাতালের ক্যানসার বহির্বিভাগের সামনে প্রত্যক্ষদর্শী দুই ব্যক্তির দেওয়া তথ্যে বিষয়টি জানা গেছে। সেই সঙ্গে পুলিশের একজন উপপরিদর্শক (এসআই) বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
আজ সোমবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে ক্যানসার বহির্বিভাগের সামনে অ্যাম্বুলেন্সচাপায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবদুল মালেক (৬৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তিনি মৌলভীবাজার জেলা সদরের বাহুলবাগ গ্রামের বাসিন্দা। আবদুল মালেক গতকাল রোববার হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে আবদুল মালেক হাসপাতালের ক্যানসার বহির্বিভাগের সামনে একটি পরীক্ষা করানোর জন্য যান। বহির্বিভাগের সামনে তিনি দাঁড়িয়েছিলেন। তখন একটি অ্যাম্বুলেন্স ঘোরানোর চেষ্টা করেন চালকের সহকারী সজীব আহমদ। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সটি পেছনে নেওয়ার সময় গাছের সঙ্গে আবদুল মালেক চাপা পড়ে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সূত্র জানায়, ঘটনার পরপরই চালক ও সহকারী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে পালিয়ে গেছেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ওই অ্যাম্বুলেন্সটির নম্বর ও মূল মালিকের নাম–ঠিকানা, চালক ও সহকারীর নাম–ঠিকানা সংগ্রহ করা হয়েছে। গাড়ির মূল মালিক রতন মিয়া। পরে তাঁর ভাগনে জামাল মিয়া অ্যাম্বুলেন্সটি কিনে নেন। অ্যাম্বুলেন্সটি চালাতেন জায়নাল আহমেদ নামের এক চালক। চালকের সঙ্গে সজীব আহমদ নামের এক সহকারী থাকতেন। সোমবার দুপুরে চালকের সহকারী অ্যাম্বুলেন্সটি ঘোরাতে গিয়ে আবদুল মালেককে চাপা দেন।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, রোগীকে চাপা দেওয়ার পর অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে পালিয়েছেন চালক ও সহকারী। পুলিশ তদন্ত করে তাঁদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।