সেনবাগে বাজারে অগ্নিকাণ্ড, দোকান কর্মচারীসহ ১৪ জন দগ্ধ
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ছিলোনিয়া বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনায দোকান কর্মচারীসহ কমপক্ষে ১৪ জন দগ্ধ হয়েছেন। অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় দগ্ধ চারজনকে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ড তিনটি দোকান সম্পূর্ণ এবং আরও চারটি দোকান আংশিক পুড়ে গেছে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সোনাইমুড়ী ও চৌমুহনী থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে বাজারের হারুন ট্রেডার্স থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বিকেল পাঁচটার দিকে সোনাইমুড়ী ও বেগমগঞ্জের চৌমুহনী থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নেভাতে সক্ষম হন। এর আগে আগুন নেভাতে গিয়ে দোকান কর্মচারী, সাধারণ মানুষসহ কমপক্ষে ১৪ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দেবজানি দে প্রথম আলোকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ ১৪ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে শাহদাত হোসেন (২৬), মো. মেহেদী (১৮), মো. সবুজ (৩১) ও মো. ইয়াকুবের (২৯) অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া মো. মিরাজ (১৮) ও মো. হাসানকে (২২) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসক দেবজানি দে বলেন, দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে মেহেদীর শরীরের ৫০ শতাংশ, শাহদাত, সবুজ ও ইয়াকুবের ৩৫ শতাংশ, মিরাজ ও হাসানের ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এ ছাড়া বাকি আটজনের অবস্থা তেমন গুরুতর নয়। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইলসাম মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ছিলোনিয়া বাজারে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আগুনে তিনটি দোকান সম্পূর্ণ এবং আরও কয়েকটি দোকান আংশিক পুড়ে গেছে।