সেনবাগ আ. লীগের কমিটি থেকে আরও এক যুগ্ম আহ্বায়কের পদত্যাগ
নোয়াখালী-২ (সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনের সাংসদ মোরশেদ আলমকে আহ্বায়ক করে গঠিত সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি থেকে আরও একজন যুগ্ম আহ্বায়ক পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁর নাম আবু জাফর।
গতকাল শনিবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে লাইভে এসে আবু জাফর পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এর আগে গত ২৭ এপ্রিল রাতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহম্মদ চৌধুরী। তার পরদিন ২৮ এপ্রিল পদত্যাগ করেন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শিহাব উদ্দিন।
আবু জাফর পাঁচজন যুগ্ম আহ্বায়কের একজন। তা ছাড়া এর আগে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেনবাগ পৌরসভার মেয়র ছিলেন।
শনিবার রাতে ফেসবুক লাইভে দেওয়া বক্তৃতায় আবু জাফর বলেন, নোয়াখালী-২ আসনের সাংসদ মোরশেদ আলমকে খুশি করার জন্য জেলা আওয়ামী লীগ সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি আহ্বায়ক কমিটি দিয়েছে। ওই কমিটিতে বিগত দিনে যাঁরা নৌকার বিরোধিতা করেছেন, দলের কোনো কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিলেন না, তাঁদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
আবু জাফর বক্তৃতায় উল্লেখ করেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগ সেনবাগে যে আহ্বায়ক কমিটি দিয়েছে, তার মধ্যে বিগত দিনে বিভিন্ন আন্দোলনে যাঁরা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাঁদের বঞ্চিত করা হয়েছে। বিশেষ করে এখানে বিগত দুইটি সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী নেতা ভিপি গোলাম মোস্তফা ও জামালউদ্দিন আহমেদ এবং আতাউর রহমান ভূঁইয়াকে (তমা মানিক) সদস্য করা হয়নি। অথচ দলের জন্য তাঁদের অনেক অবদান রয়েছে। তাই আমি এই কমিটি থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে আজ রোববার দুপুরে সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সাংসদ মোরশেদ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন শাহিন বলেন, আহ্বায়ক কমিটি দেওয়া হয়েছে সাময়িকভাবে দলের ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা সম্মেলন অনুষ্ঠানের জন্য। উপজেলা সম্মেলনে তৃণমূল যাঁকে চাইবে, তিনিই দায়িত্বে আসবেন। তা ছাড়া পদত্যাগী দুই সাবেক সভাপতি-সম্পাদকের অনৈক্যের কারণেই তো আজকের অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে সেনবাগের আওয়ামী লীগ।