সেনাবাহিনীতে যোগদানের আগে নিখোঁজ, অবশেষে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

ঝুলন্ত লাশ
প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে চাকরি পেয়েছিলেন মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার জাহিদ হোসেন (২১)। সবকিছু ঠিক থাকলে ৪ ফেব্রুয়ারি তাঁর চাকরিতে যোগদানের কথা ছিল। তবে এর আগেই গত ৩১ জানুয়ারি ভোরে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন তিনি। অবশেষে আজ বুধবার দুপুরে তাঁর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

জাহিদ হোসেন উপজেলার টেংগারচর গ্রামের কৃষক আবুল কালামের ছেলে। আজ বেলা পৌনে দুইটার দিকে উপজেলার চর বাউশিয়া এলাকার নাবিস্কো কোম্পানির বাগানের একটি গাছ থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই দিন ধরে নাবিস্কো কোম্পানির ওই বাগান থেকে দুর্গন্ধ আসছিল। আজ গন্ধের তীব্রতা বেড়ে গেলে স্থানীয় কয়েকজন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাগানের ভেতরে দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে যান। এ সময় বাগানের একটি গাছে ওই যুবকের অর্ধগলিত লাশ ঝুলন্ত দেখতে পান তাঁরা। লাশের গলায় ফাঁস দেওয়া ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশটি উদ্ধার করে।

নিহত জাহিদের বাবা আবুল কালাম জানান, ৩১ জানুয়ারি ভোরে শরীরচর্চার উদ্দেশ্যে জাহিদ বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর জাহিদ বাড়ি ফেরেননি। পরে জাহিদের কোনো খোঁজ না পেয়ে ২ ফেব্রুয়ারি পরিবারের পক্ষ থেকে গজারিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। আজ দুপুরে পুলিশের ফোন পেয়ে থানায় গিয়ে লাশের পরিচয় শনাক্ত করেছেন। পরনে থাকা চাদর ও পায়ের জুতা দেখে তিনি ছেলের পরিচয় নিশ্চিত করেন। জাহিদের বাবার দাবি, তাঁর ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রইছ উদ্দিন বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, লাশটি ছয় থেকে সাত দিন আগের বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে লাশে পচন ধরায় আঘাতের চিহ্ন বোঝা যাচ্ছে না। তাই এটা হত্যা না আত্মহত্যা, সেটা নিশ্চিত নয়। লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।