সেনাবাহিনীর চাকরির প্রলোভনে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আটক ২
বগুড়ায় সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বিভিন্নজনের কাছ থেকে প্রায় এক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে র্যাব। গতকাল শুক্রবার রাত ১১টা থেকে ভোর পর্যন্ত পৃথক অভিযানে বগুড়া সদর এবং শাজাহানপুর উপজেলা থেকে এই দুজনকে আটক করা হয়।
র্যাব বলছে, আটক দুজন হলেন প্রতারক চক্রের মূল হোতা ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বুজরুক বোয়ালিয়া গ্রামের নবীর শেখ (৪৪) এবং একই উপজেলার বিশুবাড়ি গ্রামের মাহমুদ হাসান ওরফে মজনু (৩৬)।
র্যাব-১২ বগুড়া স্পেশাল কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মো. সোহরাব হোসেন বলেন, একটি প্রতারক চক্র বগুড়ায় বসে সেনাবাহিনীতে ভর্তির প্রলোভন দিয়ে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে কৌশলে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এই প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়েছে।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতারণার কৌশল হিসেবে চক্রটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে চাকরিপ্রত্যাশীদের মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠাত। এরপর চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মুঠোফোনে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা এবং র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের গোয়েন্দা দল প্রতারক চক্রকে ধরতে মাঠে নামে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে প্রথমে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা থেকে নবীর উদ্দিনকে আটক করা হয়। এরপর শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় বগুড়া শহর থেকে মাহমুদ হোসেনকে আটক করা হয়।
র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সোহরাব হোসেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকার করেছেন, তাঁরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে চাকরির প্রলোভন দিয়ে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় পাঁচটি ভুয়া নিয়োগপত্র। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
এক প্রশ্নের জবাবে এই র্যাব কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, প্রতারিত ছয়জনের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে তাঁরা অভিযানে নামেন। এই ছয়জনের কাছ থেকে ছয় থেকে আট লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। আটক ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন তাঁরা এমন আরও অনেকজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন, যা এক কোটি টাকার ওপরে হবে।