সোনাকাটা ইকোপার্কে আহত হরিণটি। ১৮ ফেব্রুয়ারি তোলা ছবি
প্রথম আলো

বরগুনার তালতলী উপজেলার সোনাকাটা টেংরাগিরি ইকোপার্কে একটি হরিণ মারা গেছে। দুই মাস আগে দুটি হরিণের মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকে হরিণটিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। আজ সোমবার দুপুরে পার্কের বেষ্টনীর ভেতর হরিণটি মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

ইকোপার্কের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানান, প্রজননের মৌসুমে গত জানুয়ারিতে দুটি পুরুষ হরিণের সংঘর্ষ হয়। এতে একটি হরিণের শিং আরেক হরিণের বুকে ঢুকে যায়। বন বিভাগের কর্মকর্তারা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে খবর দিলে উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সঞ্জয় শিকদার আহত হরিণটির চিকিৎসা করেন।

প্রতিদিনের মতো গতকাল রোববার হরিণগুলোকে খাবার দিতে গেলে বেষ্টনীতে থাকা চারটি হরিণের মধ্যে তিনটি খাবার খেতে আসে। অসুস্থ হরিণটি না আসায় বনকর্মীরা বেষ্টনীর ভেতর খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। আজ দুপুরে বেষ্টনীর জঙ্গলে হরিণটি মৃত অবস্থায় পাওয়ায়। হরিণটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ রেখে মাটিচাপা দেওয়া হয়।

টেংরাগিরি ইকোপার্কের দায়িত্বে থাকা বন বিভাগের সখিনা বিট কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মারা যাওয়া হরিণটি দুই মাস আগে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়। আমরা এটিকে সে সময় থেকে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলাম। হরিণটি খুবই অসুস্থ ছিল।’

তালতলী রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘ইকোট্যুরিজমের সুযোগ বৃদ্ধি’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সুন্দরবনের পর টেংরাগিরি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সকিনা বিটে ২০১০-১১ ও ২০১১-১২ অর্থবছরে ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘সোনাকাটা ইকোপার্ক’ নামে এই পার্ক প্রতিষ্ঠা করে। ১৩ হাজার ৬৩৪ একর জমির ওপর উপকূলীয় এই বনাঞ্চল। ইকোপার্ক প্রতিষ্ঠাকালে এই পার্কে ১৪টি হরিণ ছিল।