সোনাগাজীর জয়নাল হত্যা ও লাশ গুমের মামলায় ছয় আসামির সবাই খালাস

আদালত
প্রতীকী ছবি

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক জয়নাল আবেদীন নিখোঁজের ৯ বছরেও তাঁর সন্ধান মেলেনি। নিখোঁজের পর অপহরণ, হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগে করা মামলা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার ছয় আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

গতকাল বৃহস্পতিবার ফেনী জেলা ও দায়রা জজ বেগম জেবুননেছা এ আদেশ দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় পাঁচজন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার আরেক আসামি পলাতক।

খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন নাছির উদ্দিন, ইসমাইল হোসেন, সিরাজুল ইসলাম মাস্টার, দুলাল হোসেন, নাজমুল হক ও মো. নূর করিম।

জয়নাল আবেদীন উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণপূর্ব চর চান্দিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাড়ির থেকে বের হওয়ার পর তিনি নিখোঁজ হন।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজের পাঁচ দিন পর অর্থাৎ ১২ জানুয়ারি উপজেলার বড় ফেনী নদীর তীরে জয়নালের পরনে থাকা জ্যাকেট পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৮ জানুয়ারি জয়নালের বাবা ছেরাজুল হক বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় একটি মামলা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন জ্যাকেট উদ্ধারের সূত্র ধরে তদন্ত শেষে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। একই বছরের ২৪ নভেম্বর মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) হাফেজ আহম্মদ বলেন, মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়নি বলেই আদালত সব আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। তবে মামলার বাদীপক্ষ চাইলে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ হানিফ মজুমদার বলেন, বিচারক ছয়জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। জয়নাল আবেদীন স্বেচ্ছায় আত্মগোপনও করতে পারেন। সম্পত্তি বিরোধের জেরে মামলায় এই ছয়জনকে আসামি করা হয়েছিল। তাই এ মামলায় আসামিদের দোষী প্রমাণ করতে পারেনি।