স্বামী হত্যা মামলায় স্ত্রী ও প্রেমিকের যাবজ্জীবন

কারাগার
প্রতীকী ছবি

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে হামিদার রহমানকে গলা কেটে হত্যার দায়ে স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে আসামি দুজনের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তাঁদের আরও এক মাস করে কারাগারে থাকতে হবে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে লালমনিরহাটের দায়রা জজ মিজানুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত দুজন হলেন নিহত হামিদারের স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন ও তাঁর প্রেমিক সিরাজুল ইসলাম। রায় ঘোষণার সময় দুজনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রিকশাচালক হামিদার রহমানের স্ত্রী মনোয়ারা খাতুনের সঙ্গে একই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের পরকীয়া ছিল। ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি বিকেলে মনোয়ারা খাতুন ও সিরাজুল ইসলামকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান হামিদার। তিনি উত্তেজিত হয়ে বাড়ির রান্নাঘরের দিকে গেলে সিরাজুল ও মনোয়ারা পিছু পিছু রান্নাঘরে যান। সেখানে তাঁদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে হামিদার রান্নাঘরের মেঝেতে পড়ে যান। এ সময় মনোয়ারার সহায়তায় দা দিয়ে হামিদারকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যান সিরাজুল।

লালমনিরহাট দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আকমল হোসেন আহমেদ বলেন, সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা এই মামলায় ইতিমধ্যেই যত দিন হাজতবাস করেছেন, ঘোষিত দণ্ড থেকে তা বাদ যাবে। ঘটনাটি মর্মান্তিক ও পরকীয়ার করুণ পরিণতি।

রায়ে অসন্তুষ্টি জানিয়ে সিরাজুলের আইনজীবী ময়জুল ইসলাম বলেন, তাঁর মক্কেল নির্দোষ, তাঁর বিরুদ্ধে ঘোষিত দণ্ড মওকুফের জন্য উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। তবে রায়ের বিষয়ে মনোয়ারার আইনজীবী মশিউর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।