স্বাস্থ্যবিধি অমান্য, ক্রেতা-বিক্রেতাকে টিকাকেন্দ্রে পাঠাল পুলিশ
স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে মানিকগঞ্জ শহরে অভিযানে আট ক্রেতা-বিক্রেতাকে ধরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। আজ রোববার দুপুরে এ অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান।
পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেলেও মানিকগঞ্জে হাটবাজার, রেস্তোরাঁ, শপিং মল ও বিপণিবিতানগুলোয় ক্রেতা ও বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে অনীহা রয়েছে।
এ জন্য গত বৃহস্পতিবার থেকে সরকার নির্দেশিত ১১টি বিধিনিষেধ মেনে চলতে এবং জনসচেতনতা তৈরিতে কাজ শুরু করে পুলিশ প্রশাসন। এর অংশ হিসেবে মাস্ক ব্যবহার ও টিকা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে জেলা শহরের শপিং মল ও বাজারে পুলিশ প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করছে।
গত কয়েক দিনের মতো রোববার দুপুর ১২টার দিকে মানিকগঞ্জ জেলা শহরের বাজার এলাকায় অভিযান চালানো হয়। বাজারের ফলের দোকান, ফার্মেসি, মুদিমালের দোকানসহ বিভিন্ন দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কেউ কেউ দোকানপাট বন্ধ করে সটকে পড়েন। তবে উপস্থিত পাঁচজন বিক্রেতা ও তিনজন ক্রেতাকে আটক করা হয়। তাঁরা স্বাস্থ্যবিধি মানছিলেন না, টিকার কার্ডও দেখাতে পারেননি।
পুলিশ সুপারের জিজ্ঞাসাবাদে ওই আটজন বলেন, তাঁরা টিকা নেননি। পরে তাঁদের জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে টিকা গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়। অভিযানে এ পর্যন্ত ৭৮ জন ক্রেতা ও বিক্রেতাকে টিকাদান কেন্দ্রে পাঠিয়ে টিকার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। এ ছাড়া জনসাধারণের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান বলেন, করোনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ও সচেতন করতে মাস্ক বিতরণের পাশাপাশি টিকা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার সদরের বাইরে বাকি ছয়টি থানা–পুলিশের সদস্যরাও এ অভিযান পরিচালনা করবেন।