হত্যা মামলার ২২ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র
বাবাকে হত্যার অভিযোগে করা মামলার ২২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত শেষে আজ রোববার ছেলের নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে টাঙ্গাইল সদর থানা-পুলিশ। অভিযুক্ত যুবকের নাম লুৎফর রহমান (৩০)। তিনি সদর উপজেলার ভিতরশিমুল গ্রামের কদ্দুস প্রামাণিকের (৬৫) ছেলে। লুৎফর পেশায় অটোরিকশাচালক।
লুৎফরকে আসামি করে তাঁর বড় ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে চারটায় টাঙ্গাইল সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় লুৎফরের বিরুদ্ধে তাঁর বাবা কদ্দুস প্রামাণিককে হত্যার অভিযোগ আনা হয়।
মামলার অভিযোগে বাদী নজরুল ইসলাম বলেন, শনিবার সকালে কদ্দুস প্রামাণিকের সঙ্গে ছোট ছেলে লুৎফরের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে লুৎফর ঘরের ভেতর থেকে ধারালো দা এনে তাঁর বাবার কপালে একটি ও মাথার পেছনে দুটি কোপ দিয়ে গুরুতর জখম করেন। পরে তাঁকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কদ্দুস প্রামাণিকের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। পরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।
শনিবার বিকেল সাড়ে চারটায় মামলার পর পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়ের তত্ত্বাবধানে দ্রুত মামলার তদন্তকাজ সম্পন্ন করে অভিযোগপত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। গ্রেপ্তার লুৎফর জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর বাবাকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিতে সম্মত হন।
আজ রোববার সকালে লুৎফরকে টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল ওহাব। সেখানে লুৎফর তাঁর বাবা কদ্দুস প্রামাণিককে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান তাঁর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। পরে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তদন্ত শেষে আজ বেলা আড়াইটায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। অভিযোগপত্রে ম্যাজিস্ট্রেট, চিকিৎসকসহ ১৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।