হবিগঞ্জে আ.লীগের ১৪ নেতার পদত্যাগ
হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়ার এক দিন পর আজ রোববার পৌর কমিটির ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৮টি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের ১৪ জন দল থেকে একযোগে পদত্যাগ করেছেন।
পদত্যাগপত্রে ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করা হলেও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদ হিসেবে তাঁরা একযোগে পদত্যাগ করেছেন বলে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা–কর্মীদের মধ্যে জোর গুঞ্জন চলছে। তাঁরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
যাঁরা পদত্যাগ করেছেন তাঁরা হলেন হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক শামীম খান, ২ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি পারভেজ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আলী আরমান খান, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি কাজল সরকার, সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন শিপন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি শাহ ইউসুফ আলী (ভারপ্রাপ্ত) ও সাধারণ সম্পাদক মো. শামছুর রহমান সোহেল, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মো. মানিক মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামীম খান, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মো. সারোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শাহ মহিবুল আলম, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মোহাম্মদ ফুল মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম।
হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, নেতাদের পদত্যাগপত্র তিনি পেয়েছেন। তবে এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের পরবর্তী সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গত উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচনে চেয়ারম্যান এবং মেয়র পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ, সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, বানিয়াচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান, চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহেরকে সাংগঠনিক পদ থেকে গত শনিবার অব্যাহতি দেওয়া হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মো. আবু জাহির ও সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে তাঁদের দল থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত মোতাচ্ছিরুল ইসলাম বলেন, দলের ১৪ জন নেতা কী কারণে পদত্যাগ করেছেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই।