হবিগঞ্জে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আ.লীগের ৪ নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি

হবিগঞ্জ জেলার মানচিত্র

দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে গত উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও মেয়র পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগের চার নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আজ শনিবার হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মো. আবু জাহির এবং সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

অব্যাহতিপ্রাপ্ত নেতারা হলেন হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ ওরফে টিটু, সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, বানিয়াচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান ও চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহের। শেষের দুজনই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।

মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন খান ও আবু তাহের ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের প্রার্থীর বিপরীতে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছিলেন। নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ ২০২০ সালে হবিগঞ্জ পৌরসভার উপনির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে মেয়র পদে অংশ নিয়েছিলেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত ও নির্দেশে এই চার নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আবদুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ অধিকারী ওরফে শংকরকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনকে ও বানিয়াচং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আংগুর মিয়াকে নিজ নিজ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও অব্যাহতিপ্রাপ্ত পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাচ্ছিরুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা নির্বাচনের পর আমাকে দলীয় শাস্তি থেকে অব্যাহতি দেন। এখন এত দিন পর নতুন করে এ ঘোষণা কী কারণে এল, তা আমার কাছে পরিষ্কার নয়।’

অব্যাহতিপ্রাপ্ত একজন সাধারণ সম্পাদক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, একজন নেতাকে দলীয়ভাবে কোণঠাসা করতে গিয়ে এর সঙ্গে নিরপরাধ তিনজনকে বলি দেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি পাননি বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর চৌধুরীসহ সংগঠনের দুজন যুগ্ম সম্পাদক ও দুজন সাংগঠনিক সম্পাদকের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার কল করা হলেও তাঁরা কেউ ধরেননি।