খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের খাবারের মান যাচাই করতে ডাইনিং পরিদর্শন করেছেন উপাচার্য মাহমুদ হোসেন। আজ সোমবার দুপুরে পরিদর্শনের সময় তিনি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ডাইনিংয়ে বসে সেখানকার রান্না করা খাবারও খেয়েছেন। খাওয়াদাওয়া শেষে উপাচার্য খাবারের নির্ধারিত দামও পরিশোধ করেন।
গত ২৬ জানুয়ারি প্রথম আলোর ৬ নম্বর পাতায় ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়: নামে ভর্তুকি, নিম্নমানের খাবার’ শিরোনামে হলের ডাইনিংয়ের খাবার নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে হলগুলোর ডাইনিং ও ক্যানটিনের খাবারের মানের চিত্র ওঠে আসে। প্রতিবেদনটির সূত্র ধরেই খাবারের মান যাচাই করতে উপাচার্য আকস্মিকভাবে হলের ডাইনিং পরিদর্শন করেছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
খাবারের মান হয়তো বাড়ির মতো হয়নি। তবে টাকা অনুযায়ী ঠিকই আছে। মাছ, মাংস, সবজি ও ডাল থাকায় পুষ্টির চাহিদা পূরণ হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, দুপুরের দিকে উপাচার্য প্রথমে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি হলের ডাইনিংয়ে রান্না করা খাবারের মান নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের জন্য ডাইনিংয়ে রান্না করা খাবার খান। পরে তিনি ছেলেদের খান বাহাদুর আহছানউল্লা হল পরিদর্শন করেন। হলগুলো পরিদর্শনের সময় খাবারের মান ভালো রাখার জন্য তিনি ডাইনিং পরিচালনা কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
হলের ডাইনিং পরিদর্শনের ব্যাপারে জানতে চাইলে উপাচার্য মাহমুদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘টাকা অনুযায়ী খাবারের মান ভালো। মাত্র ৩৫ টাকায় ভাত, আলুসহ এক পিস মুরগির মাংস, একটি ভাজি ও ডাল দিয়ে ভাত খেয়েছি। খাবারের মান হয়তো বাড়ির মতো হয়নি। তবে টাকা অনুযায়ী ঠিকই আছে। মাছ, মাংস, সবজি ও ডাল থাকায় পুষ্টির চাহিদা পূরণ হচ্ছে।’
মাহমুদ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় তিনি নিজেও ডাইনিংয়ে খাওয়াদাওয়া করতেন। ফলে তিনি হলের শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো জানেন। তাই তিনি হল পরিদর্শনের মাধ্যমেই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। এর অংশ হিসেবে হল ও ডাইনিং পরিদর্শন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
শিক্ষার্থীদের হলের খাবার নিয়ে প্রথম আলোর প্রতিবেদনটি তাঁর নজরে এসেছে বলে জানান উপাচার্য। এ ধরনের প্রতিবেদন সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
হল পরিদর্শনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস ও বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ ও কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচটি আবাসিক হল রয়েছে। এর মধ্যে দুটি মেয়েদের ও তিনটি ছেলেদের হল।