হাতীবান্ধায় ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৫

মেডিকেল মোড়ে দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে তাঁরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ এসে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়
ছবি: প্রথম আলো

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার মেডিকেল মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত পাঁচজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

আহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) রশিদুল ইসলাম, আলিমুদ্দিন সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুল ইসলাম, টংভাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক সোহাগ চন্দ্র রায় এবং উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রুবেল ইসলাম ও সদস্যসচিব আবদুল আল নোমান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে হাতীবান্ধা উপজেলা বিএনপি দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। তবে মিছিল বের করার পরপরই তারা পুলিশ সদস্যের বাধার মুখে পড়ে। পরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। সমাবেশ শেষে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা উপজেলার মেডিকেল মোড়ে অবস্থান নেন।

এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফাহিম শাহারিয়ারের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আলিমুদ্দিন সরকারি কলেজ থেকে একটি মিছিল নিয়ে বিএনপি কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে ছাত্রলীগের মিছিলটি মেডিকেল মোড়ে পৌঁছালে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিপেটা করে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

হাতীবান্ধা উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আফজাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাই পরিকল্পিতভাবে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফাহিম শাহারিয়ার বলেন, স্বাধীনতার মাস উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ছাত্রদল মিছিল বের করেছিল। মিছিলটি মেডিকেল মোড়ে পৌঁছানোর পরই বিএনপি ও ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা তাঁদের মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে তাঁদের তিনজন নেতা আহত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।

জানতে চাইলে হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এরশাদুল আলম বলেন, এখন ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে এ ঘটনায় বিকেল পর্যন্ত কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ দেয়নি।