হাতীবান্ধায় পুলিশি হেফাজতে যুবকের মৃত্যু

লাশ
প্রতীকী ছবি

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানায় পুলিশির হেফাজতে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, ওই যুবক আত্মহত্যা করেছেন।

মারা যাওয়া যুবকের নাম হিমাংশু রায় (৩৫)। তিনি হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের পূর্ব কাদমা মালদাপাড়া গ্রামের বিশ্বেশ্বর চন্দ্র রায়ের ছেলে। স্ত্রী সাবিত্রী রানীর (৩০) মৃত্যুর কারণ জানতে হিমাংশু রায়কে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালে মালদাপাড়া গ্রামের হিমাংশু রায়ের বাড়ির একটি ঘর থেকে তাঁর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর স্ত্রীর মৃত্যুর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হিমাংশুকে আটক করে থানায় নেয় পুলিশ। পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় বিকেলে হিমাংশুর মৃত্যু হয়।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, হিমাংশু জিজ্ঞাসাবাদে একেক সময় একেক রকম কথা বলছিলেন। এ অবস্থায় থানার নারী-শিশু হেল্পডেস্ক কক্ষে রেখে কর্মকর্তারা তাঁকে খেতে দেন। এ সুযোগে সেখানে থাকা ওয়াই–ফাইয়ের তার গলায় পেঁচিয়ে জানালার গ্রিলে ঝুলে আত্মহত্যা করেন হিমাংশু।

হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হিরণ্ময় বর্মণ বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই হিমাংশুর মৃত্যু হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল আমীন বলেন, হিমাংশু রায়ের লাশের সুরতহাল হবে। এর আগে তাঁর স্ত্রীর লাশের সুরতহাল থানা-পুলিশ তৈরি করেছে। স্বামী-স্ত্রী দুজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আজ শনিবার সকালে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।