হাত-পা বেঁধে মারধরের পর গৃহবধূর চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ

নারী নির্যাতন
প্রতীকী ছবি

লক্ষ্মীপুরে এক গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে মারধরের পর মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়েছে। ওই গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুক দাবি করে না পেয়ে তাঁর ওপর এভাবে নির্যাতন চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মধ্য চররমনি গ্রামে গত রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার ওই গৃহবধূ (২০) বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় তিনি তাঁর স্বামী, ননদ, ননদের স্বামী, শাশুড়িসহ চারজনকে আসামি করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ তাঁর ননদ পাখি বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে ঘটনার পর থেকে তাঁর স্বামী মো. হাসানসহ বাকিরা পলাতক রয়েছেন।

এ ঘটনায় হওয়া মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, তিন বছর আগে মধ্য চররমনি গ্রামের মো. কাঞ্চনের ছেলে মো. হাসানের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ওই নারীর। হাসান পেশায় জেলে। বিয়ের পর তিনি যৌতুক চেয়ে তাঁর স্ত্রীকে প্রায়ই মারধর করতেন। যৌতুকের টাকা না পেয়ে রোববার সন্ধ্যায় হাসান ও তাঁর বোন পাখি হাত-পা বেঁধে ওই গৃহবধূকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। রাতভর মারধর শেষে একপর্যায়ে গৃহবধূর মাথার সামনের অংশের চুল কেটে ন্যাড়া করে দেন তাঁরা। পরে তাঁকে সে অবস্থায়ই ফেলে রেখে চলে যান। খবর পেয়ে গতকাল সোমবার বিকেলে ইউপি সদস্য মনির হোসেন তাঁকে উদ্ধার করেন। এরপর ওই নারী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ বলেন, ‘হাসান আমার পরিবারের কাছ থেকে এর আগে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক নিয়েছে। এখন আবার তিন লাখ টাকা দেওয়ার জন্য মা-বাবার কাছে বলতে আমাকে চাপ দেয়। টাকা চাইতে পারব না জানালে আমার হাত-পা বেঁধে মারধর করে। সামনের চুল কেটে ন্যাড়া করে দেয়।’

জেলা পুলিশ সুপার এ এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, গৃহবধূকে মারধর ও চুল কেটে ফেলার ঘটনাটি দুঃখজনক। তাঁরা বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করবেন।