হার্ডিঞ্জ সেতুতে ঢাবি শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় হার্ডিঞ্জ সেতু থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী মাহবুব আলমের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। নিহত শিক্ষার্থীর বাবা আবদুল হান্নান বাদী হয়ে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় পোড়াদহ রেলওয়ে (জিআরপি) থানায় এ মামলা করেন।
আজ রোববার সন্ধ্যায় পোড়াদহ জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজের আলী প্রথম আলোকে বলেন, মাহবুবের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। মাথায় আঘাত এবং তাঁর ছেলে কেন একা কুষ্টিয়ায় গেলেন, সে বিষয় উল্লেখ করে জানতে চাওয়া হয়েছে। ছেলেকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ওসি মনজের আলী আরও বলেন, মামলাটি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম তদন্ত করবেন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে হত্যার কারণ জানা যাবে। এ ছাড়া পুলিশও ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ অন্যান্য দিকগুলো খতিয়ে দেখবে।
রেলওয়ে পোড়াদহ থানা–পুলিশ সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার সকাল আটটার দিকে তাঁরা খবর পান, ভেড়ামারায় হার্ডিঞ্জ সেতুর ওপর এক ব্যক্তির লাশ পড়ে আছে। সেখানে থানার এসআই নজরুল ইসলামকে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই পুলিশ সদস্য দেখতে পান, লাশের মাথার সামনে ও পেছনে কাটা দাগ। লাশের পরনে থাকা পোশাকের পকেটে জাতীয় পরিচয়পত্র ও মুঠোফোনের সূত্র ধরে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হন।
ওই দিন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মাহবুব আলমের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরদিন শুক্রবার বেলা ১১টায় গ্রামের বাড়িতে মাহবুব আলমের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মাহবুব আলমের বাড়ি জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল পৌর শহরের তিলাবদুন সাখিদারপাড়া মহল্লায়। তাঁর বাবা আবদুল হান্নান জয়পুরহাট জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান। মাহবুব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে থাকতেন।
আবদুল হান্নান বলেন, ‘আমার ছেলে দুর্ঘটনায় মারা যায়নি। আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।’ তিনি এর বিচার চান।