নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাশেম ফুড কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস।
শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক দেবাশীষ বর্মন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেন।
দেবাশীষ বর্মন সাংবাদিকদের জানান, আগুন নেভানোর পর ছয়তলায় তল্লাশি চালিয়ে আর কোনো লাশ পাওয়া যায়নি। মৃতদেহ না থাকায় উদ্ধারকাজ সমাপ্ত করা হলো। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আগুনে পুড়ে যাওয়া ৪৯ জনের লাশ পাওয়া গেছে। অগ্নিকাণ্ডের প্রথম দিন তিনজন মারা যান। ক্ষতিগ্রস্ত ছয়তলা ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনের পাঁচতলার ছাদ ধসে পড়েছে।
দেবাশীষ বর্মন বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস কর্মী হিসেবে আমি মনে করি, ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী ও ঝুঁকিপূর্ণ। ভবনটি দুজন পুলিশ কর্মকর্তা ও কারখানার কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হলো। ভবনটি ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।’
গত বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে রূপগঞ্জের ভুলতায় জুস কারখানার ছয়তলা ভবনের নিচতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ সময় প্রাণ বাঁচাতে ভবনটি থেকে লাফিয়ে পড়েন শ্রমিক স্বপ্না রানী (৪৪) ও মিনা আক্তার (৩৪)। ঘটনাস্থলেই তাঁরা মারা যান। এরপর মোরসালিন (২৮) নামের একজন শ্রমিক প্রাণ বাঁচাতে ওই ভবনের তৃতীয় তলা থেকে লাফ দেন। মোরসালিনকে রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। গতকাল শুক্রবার ৪৯ জনের দগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।