ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নগরের কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়েছে। আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে সোমবার দুপুরে মামলাটি করেন ব্যবসায়ীর স্ত্রী জায়েদা আক্তার। মামলায় আসামি করা হয়েছে ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুর রহমান ভূঁইয়াসহ পাঁচজনকে।
রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ নগরের চরপাড়া এলাকায় অবস্থিত হিলটন হোটেলের একটি কক্ষ থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের (৩৮) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় হোটেলকক্ষ থেকে একটি চিরকুটও উদ্ধার করা হয়। তাতে জাহাঙ্গীর তাঁর মৃত্যুর জন্য কয়েকজনকে দায়ী করে তাঁদের নাম লিখে যান। আত্মহত্যার আগে জাহাঙ্গীর তাঁর মৃত্যু জন্য দায়ী ব্যক্তিদের নাম তাঁর ফেসবুক পেজে উল্লেখ করে শনিবার গভীর রাতে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন।
স্বর্ণ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভার কাকনহাটি মহল্লার লাল মিয়ার ছেলে। শহরের চর হোসেনপুর এলাকার সুলেমান ভূঁইয়া (এসবি) মার্কেটে তাঁর আপন জুয়েলার্স নামে একটি জুয়েলারি দোকান রয়েছে। তিনি শহরের জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
জাহাঙ্গীরের ফেসবুক পেজে নাম থাকা প্রসঙ্গে কাউন্সিলর সাইফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, জাহাঙ্গীর তাঁর মার্কেটে দোকান ভাড়া নিয়ে জুয়েলারি ব্যবসা পরিচালনা করতেন। মিলন মিয়া নামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের কাছে ৯৪ হাজার টাকা পেতেন। সেই টাকার জিম্মাদার ছিলেন তিনি। সময়মতো টাকা পরিশোধ না করে জাহাঙ্গীর ঈশ্বরগঞ্জ থেকে উধাও হয়ে যান। পরে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য মিলন মিয়া ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। এর পর থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির ফেসবুক মেসেঞ্জারে ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে এ ঘটনার জন্য ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর তাঁকে (কাউন্সিলর) দোষারোপ করছিলেন। এ ধরনের একটি ভিডিও তাঁর নজরে এলে তিনি অজানা আশঙ্কায় শনিবার বিকেলে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
মামলার বিষয়টি প্রথম আলোকে মুঠোফোনে নিশ্চিত করেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ। তবে অন্য চার আসামি মিলন মিয়া, সুজন মিয়া, অন্তর মিয়া ও কাঞ্চন মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।