হোয়াটসঅ্যাপে এসেছিল উত্তরপত্র, তরুণী পুলিশ হেফাজতে

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
ফাইল ছবি

জামার ভেতরে বিশেষ কায়দায় অ্যান্ড্রয়েড ফোন নিয়ে পরীক্ষার হলে বসেছিলেন তরুণী। যথাসময়ে পরীক্ষক প্রশ্নপত্র দিয়েছেন। পরীক্ষা শুরুর ঠিক নয় মিনিটের মাথায় সুযোগ বুঝে মোবাইল বের করে প্রশ্নপত্রের ছবি তোলেন ওই তরুণী। পরে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দেন একজনকে। কয়েক মিনিটের মাথায় প্রশ্নের সমাধানও চলে আসে হোয়াটসঅ্যাপে। কিন্তু পরে সেই উত্তরপত্র দেখে আর পরীক্ষা দেওয়া হয়নি তরুণীর। ধরা পড়ে যান তিনি।

রোববার দুপুর ১২টায় এই ঘটনা ঘটে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি)। আজ ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার দ্বিতীয় দিন ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ ভবনে বি ইউনিটের পরীক্ষা চলার সময়ে অসদুপায় অবলম্বন করায় ওই তরুণীকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মামুনুর রশিদ থানায় একটি অভিযোগ করেন। তরুণীর নাম তাসনিয়া আকতার খুশবু। তাঁর বাড়ি দিনাজপুর সদর উপজেলার কমলপুর গ্রামে।

মুঠোফোনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মামুনুর রশিদ বলেন, দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ভবনে প্রায় সাত হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেন। ড. এম ওয়াজেদ ভবনের ৩০৫ নম্বর কক্ষে ওই তরুণী গোপনে মোবাইলে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বাইরে পাঠিয়েছিলেন। বিষয়টি প্রথমে অন্য পরীক্ষার্থীদের নজরে এলে তাঁরা হল পরিদর্শক হিতেন্দ্র নাথকে জানান। পরে নারী পুলিশের সহায়তায় মুঠোফোনটি উদ্ধার করা হয় এবং ওই তরুণীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে অভিযোগ করেছে। মেয়েটি পুলিশের হেফাজতে আছেন। প্রাথমিক তদন্তে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে। তাঁর মুঠোফোনটিও জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে।