এর আগে রোজার শুরুতে ১০ টাকায় ইফতারির বাজার আয়োজন করে সংগঠনটি। এ নিয়ে ১০ টাকায় ৫১৩টি পরিবার বিভিন্ন সামগ্রী কেনার সুযোগ পেল।

উপজেলার হাইয়ারপাড় গ্রামের নিলুফা বেগম বলেন, গরুর মাংসের খুব দাম। ঘরের ছোট বাচ্চারা মাংস খেতে চায়। কেনার সামর্থ্য নেই। এই বাজার থেকে তিনি ১০ টাকায় মাংস কিনেছেন। সঙ্গে পেয়েছেন চাল ও মসলা।

কামারখাড়া এলাকার জয়মালা বেগম বলেন, ‘কুরবানির ঈদ ছাড়া গরুর মাংস খাওয়া অয় না। কুরবানি আইলে মানুষ গরুর মাংস দেয়। বছরের ওই ঈদের কয়েক দিন শুধু গরুর মাংস খাই। রোজার ঈদে মাত্র ১০ টাকা দিয়া গরুর মাংস আর পোলাও চাল নিতে পারমু, তা ভাবতে পারি নাই। এর আগেও ১০ টাকায় তেল, খেজুরসহ ৭-৮ প্রকার খাওন কিনছিলাম।’

শিলই গ্রামে মারফত আলী বলেন, ‘বুড়ো বয়সে বাজারে পাহারাদারের কাজ করি। মাস শেষে ৫ হাজার টাকা পাই। তা দিয়ে কোনোমতে সংসার চলে। তাই ১০ টাকায় মাংস পাইয়া উপকার হইছে।’

ঈদের দিন তিন শতাধিক পরিবারের মধ্যে এসব বিতরণ করে তাঁরা আনন্দিত বলে জানালেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রিয়াদ হোসাইন। তিনি আরও বলেন, সংগঠনের সদস্যদের মাসিক চাঁদা, বিভিন্ন সময় মানুষের কাছ থেকে প্রাপ্ত অনুদান দিয়ে এই আয়োজন করা হয়েছে।

সংগঠনের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘বাজারে মাংসের দাম ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, যা সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষের পক্ষে কেনা সম্ভব নয়, তাই আমরা তাঁদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করা জন্য এই আয়োজন করেছিলাম। তাঁদের মুখে তৃপ্তির হাসি দেখে, আমাদেরও ভালো লেগেছে।’