নাটোরের গুরুদাসপুর
৪০ দিনের কাজের মজুরি পাননি ৯৮১ জন শ্রমিক
কাজ শেষ হওয়ার প্রায় তিন সপ্তাহ পার হলেও মজুরির টাকা পাননি এসব শ্রমিক।
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় অতিদরিদ্রদের ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজ শেষ হলেও মজুরির টাকা পাচ্ছেন না ৯৮১ জন শ্রমিক। এতে তাঁদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। মজুরি বাবদ ১ কোটি ৫৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকা প্রাপ্য রয়েছে শ্রমিকদের।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ২১৯ জন, বিয়াঘাটের ১২৯ জন, খুবজীপুরের ১০৮ জন, মশিন্দার ১৬৮ জন, ধারাবারিষার ১৭৫ জন, চাপিলার ১৮২ জনসহ মোট ৯৮১ জন তালিকাভুক্ত শ্রমিক রয়েছেন। গত ২৯ জানুয়ারি থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত ৪০০ টাকা দিনহাজিরা চুক্তিতে কাজ করেছেন তাঁরা।
প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে মজুরির টাকা পেতে বিলম্ব হচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে।
বিধিমোতাবেক তালিকাভুক্ত এসব শ্রমিকের মজুরির টাকা প্রতি সপ্তাহে তাঁদের মুঠোফোনে আসার কথা। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার প্রায় তিন সপ্তাহ পার হলেও মজুরির টাকা পাননি এসব শ্রমিক।
ভুক্তভোগীদের টাকা না পাওয়ার কথা স্বীকার করে নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আয়ুব আলী বলেন, কাজ শেষ হওয়ার পরও মজুরির টাকা না পাওয়ায় প্রতিদিন শ্রমিকদের কষ্টের কথা শুনতে হচ্ছে।
অন্য ইউপির চেয়ারম্যানরা জানান, হতদরিদ্র শ্রমিকেরা তাঁদের মজুরির টাকার ওপর নির্ভর করে সংসার চালানোর পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) কিস্তির টাকা দিয়ে থাকেন। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার পরও মজুরির টাকা না পেয়ে অমানবিক জীবন যাপন করছেন তাঁরা।
শ্রমিকদের দুর্ভোগের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পিআইওকে জানানোর পর নাজিরপুর ইউনিয়ন বাদে অন্য ইউনিয়নের শ্রমিকেরা মাত্র পাঁচ দিনের মজুরির টাকা পেয়েছেন। তবে এখনো ৩৫ দিনের মজুরির টাকা বকেয়া রয়েছে। রমজান ও ঈদকে ঘিরে শ্রমিকদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।
জানতে চাইলে পিআইও মো. আবদুল হান্নান প্রথম আলোকে গতকাল সোমবার বলেন, নতুন বছর থেকে শ্রমিকদের মজুরির টাকা নিজ নিজ মুঠোফোনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ কারণে তালিকাভুক্ত শ্রমিকদের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে অনলাইনে পাঠানো হয়েছে। প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে মজুরির টাকা পেতে বিলম্ব হচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে।