৯৯৯-এ ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ বৃদ্ধ মা-বাবার

জমিজমা লিখে না দেওয়ায় মা–বাবাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন ছেলে। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন করে বাবা এই অভিযোগ করলে পুলিশ ছেলেকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। পরে সেই ছেলের শরীর তল্লাশি করে গাঁজা পাওয়া যায়।

পুলিশ গাঁজা উদ্ধারের মামলায় রোববার ছেলেকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। ঘটনাটি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের আগপাড়া গ্রামের।

স্থানীয় সূত্র ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার হওয়া সেই ছেলের নাম মো. জয়নাল আবেদিন (৩২)। তিনি উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের আগপাড়া গ্রামের মো. হামিদ উদ্দিনের ছেলে। জানা যায়, হামিদ উদ্দিনের তিন ছেলে। অন্য দুই ছেলের একজন ঢাকার একটি বেসরকারি সংস্থায় ও অপরজন নিরাপত্তা প্রহরীর চাকরি করেন। জয়নাল আবেদিন সম্প্রতি সিংরইল ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের সদস্য পদে চাকরিতে যোগদান করেন।

পারিবারিক একটি সূত্র জানায়, হামিদ উদ্দিনের নামে থাকা বেশির ভাগ জমিজমা জয়নাল তাঁর নিজের নামে লিখে দেওয়ার জন্য বাবাকে চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু হামিদ উদ্দিন তাঁর তিন সন্তানকে সমহারে জমিজমা বণ্টন করে দিতে ইচ্ছুক ছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জয়নাল তাঁর মা–বাবাকে মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন। শনিবার রাতে জয়নাল তাঁর মা–বাবাকে ঘুম থেকে তুলে বাড়ি থেকে বের করে দেন।

মা সমেলা খাতুন জানান, জয়নাল তাঁদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ঘাড় ধরে ঘর থেকে বের করে দেন। বৃদ্ধ মা–বাবা কয়েক ঘণ্টা খোলা আকাশের নিচে কাটিয়ে প্রতিবেশীদের পরামর্শে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে নিজেদের অবস্থার কথা জানিয়ে অভিযোগ করেন।

নান্দাইল মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মনিরুজ্জামান জানান, ৯৯৯ নম্বর থেকে বার্তা পেয়ে তিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দকে ঘটনাটি অবহিত করেন। পরে ওসির নির্দেশে ওই গ্রামে গিয়ে জয়নালকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। এ সময় তাঁর শরীর তল্লাশি করে দেড় শ গ্রাম ওজনের একটি গাঁজার পোঁটলা পাওয়া যায়। পরে তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে রোববার দুপুরে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়।