মাগুরায় স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহত ৩

স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের পর রাস্তায় ভাঙা ইটের টুকরা পড়ে থাকতে দেখা যায়। বুধবার দুপুরে মাগুরা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে
ছবি: প্রথম আলো

মাগুরায় স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রলীগের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং সংঘর্ষে অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে মাগুরা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত তিনজন স্থানীয় হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাদের অভিযোগ, কর্মিসমাবেশ উপলক্ষে তাঁদের একটা মিছিলে ছাত্রলীগের কর্মীরা ইটপাটকেল ছুড়লে সংঘর্ষ শুরু হয়। তবে ছাত্রলীগ নেতাদের দাবি, স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল থেকে তাঁদের ওপর হামলা চালানো হলে তাঁরা প্রতিরোধ করেন।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ তাঁদের একটি প্রতিনিধি সভা ছিল। শহরের ইসলামপুরপাড়ায় জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে জেলা জজ আদালতের সামনে থেকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি মিছিল সভায় যোগ দেওয়ার জন্য আসছিল। ১২টার দিকে মিছিলটি চৌরঙ্গী মোড় পৌঁছালে সমবায় মার্কেটের দিক থেকে ছাত্রলীগের একটি দল মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি শরিফুল ইসলাম, শ্রীপুর সদর ইউনিয়ন কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক বাহারুল ইসলাম এবং সদর থানা কৃষক দলের আহ্বায়ক বি এম পলাশ আহত হন।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের একজন কর্মীর কোপ লেগেছে। ছাত্রলীগের ওদিক থেকে একটি গুলিও ছোড়া হয়েছে। সেই গুলিতে আমাদের এক কর্মী আহত হয়েছেন।’ তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হামিদুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিএনপির একটি মিছিল যাচ্ছিল। এ সময় চৌরঙ্গী মোড়ে আমাদের ১০–১২ জন কর্মীকে লক্ষ করে মিছিল থেকে ইটপাটকেল ছোড়ে। ওরা এ সময় প্রতিরোধ করেছে। জন্মাষ্টমী ছিল, এ কারণে আমরা কোনো হুড়-হাঙ্গামা করিনি। নেতা–কর্মীদের নিয়ে আমরা সরে এসেছি।’

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিলে প্রথমে ইট ছোড়া হয়। এতে তাঁদের এক কর্মী আহত হলে তাঁরাও পাল্টা ধাওয়া দেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে। এ সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা কিছু সময়ের জন্য দোকান বন্ধ করে দেন।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ সেকেন্দার আলী প্রথম আলোকে বলেন, আজ স্বেচ্ছাসেবক দলের একটা প্রতিনিধি সভা ছিল। সভায় আসার সময় বিএনপির একটি গ্রুপ ছাত্রলীগের একটা গ্রুপের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে যায়। এ সময় উভয় পক্ষ ইটপাটকেল ছোড়া শুরু করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কারা প্রথমে হামলা করেছিল, প্রাথমিকভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।