আমার খুব দুঃখ লাগে, ছাত্রলীগ–যুবলীগের কর্মীরা সহজে চাকরি পায় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন
ফাইল ছবি

ছাত্রলীগ, যুবলীগের কর্মীরা চাকরি না পাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, ‘আমার খুব দুঃখ লাগে, আমার দলের ছেলেমেয়েরা, ছাত্রলীগের, যুবলীগের নেতারা চাকরি করতে পারে না, ব্যবসাও করতে পারে না। সামান্য ব্যবসা করতে গেলে তাদের দুর্নাম হয়। চাকরিও তারা সহজে পায় না। এ ক্ষেত্রে আমরা ব‌লি, তারা প‌লি‌টিকস অর্জন করেছেন। এ নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে, আমি সবাইকে বলব একটা উপায় বের করার জন্য।’  

আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ মুজতবা আলী হলের আয়োজনে হলের বর্ধিত অংশ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেন।

ছাত্রলীগ, যুবলীগের কর্মীদের দেশের সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের স্পি‌রিট, কমিউনিকেশন স্কিল অ্যান্ড অ‌্যাফোর্ড কাজে লা‌গিয়ে কীভাবে কাজে সংযুক্ত করা যায়, সে পন্থা আমাদের বের করতে হবে।’

সিলেটের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘সিলেট জ্ঞানী-গুণী মানুষদের শহর, কিন্তু দুঃখের বিষয়, পড়াশোনায় সিলেট এখন অনেক পিছিয়ে গেছে। আমি ছাত্রছাত্রীদের বলি, তোমরা আন্দোলন করো, তবে শিক্ষাটা ছেড়ো না।’

ছাত্রজীবনে সিলেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আন্দোলন করেছিলেন জানিয়ে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘সিলেটের মানুষ হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আমার আলাদা একটা দরদ ও দায়বদ্ধতা আছে। বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাঙ্কিংয়ে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় সারা দেশে দ্বিতীয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে প্রথম হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আমাদের ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাহিত্যিক ও বহুভাষাবিদ সৈয়দ মুজতবা আলীর স্মৃতিচারণা করে বলেন, রাষ্ট্রভাষার এক অগ্রদূত ছিলেন সৈয়দ মুজতবা আলী। আবাসিক হলে আসন পাওয়া শিক্ষার্থীরা সৌভাগ্যবান যে এই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ইচ্ছা থাকায় আজ এই বিশ্ববিদ্যালয় দাঁড়িয়ে আছে এবং এখানে এত সুন্দর আবাসিক হল গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন কোষাধ্যক্ষ মো. আনোয়ারুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি আখতারুল ইসলাম, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক আমিনা পারভীন, প্রক্টর মো. ইশরাত ইবনে ইসমাইল, ছাত্র প্রতিনিধি খলিলুর রহমান, হলের প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবু সাইদ আরেফিন খান, সৈয়দ মুজতবা আলীর ভাতিজা সৈয়দ রুহুল আমিন প্রমুখ।