বিশ্ব আবহাওয়া দিবস আজ
শুধু দিবস নয়, প্রতিটি দিনই হোক আবহাওয়ার
আবহাওয়ার পূর্বাভাসভিত্তিক কৃষি পরামর্শ অনুসরণ নিশ্চিত করা গেলে শস্যের ফলন বাড়ানো সম্ভব। এতে উৎপাদন খরচও কমবে।
প্রতিদিন কোনো না কোনো দিবসের একটা চক্কর থাকে। এসব নিয়ে অনেক বাহাস আছে। যেসব বিষয় বা যাঁদের নিয়ে দিবস, তাঁদের প্রয়োজন শুধু যেন ওই দিবসের দিনটিতেই ফুরিয়ে না যায়, সেটা অনেকে মনে করিয়ে দেন।
আবহাওয়া তেমনি একটা দিবস, যার প্রয়োজন প্রতি পলে পলে। ঘটা করে এই দিবসের চল শুরু হয় ১৯৬১ সালে। ১৮৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থাই ১৯৫০ সাল থেকে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা। সংস্থাটির পূর্ণ সদস্য এখন ১৯১টি রাষ্ট্র। প্রধান কার্যালয় সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়।
এ বছরে বিশ্ব আবহাওয়া দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘হাইড্রমেট্রোলজিক্যাল অ্যান্ড ক্লাইমেট ইনফরমেশন ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন’। সোজাসাপটা বাংলায় বলা যায়, ‘দুর্যোগের ঝুঁকি কমানোর জন্য জলীয় আবহাওয়া এবং জলবায়ুর খবরাখবর’। ‘হাইড্রমেট্রোলজি’র সঠিক বাংলা অর্থ হয়তো অন্য কিছু হতে পারত। কিন্তু আমাদের আবহাওয়া আইন, ২০১৮ ‘তে ‘হাইড্রমেট্রোলজি’কে জলীয় আবহাওয়া বলা হয়েছে। মোদ্দা কথা, জল–উদ্গত আপদ–বিপদের খবর আর পরিবর্তিত জলবায়ুর তথ্য সময়মতো মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারলে ভোগান্তির ঝুঁকি অনেক কমে যাবে।
সাধারণ ঝড়–বৃষ্টির জানা খবর সময়মতো সঠিক ইঙ্গিতে মানুষের কাছে পৌঁছাতে না পারলে যে কী কঠিন ওলট–পালট পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে, তা আমরা গত ডিসেম্বরে জাওয়াদের সময় দেখেছি। নিম্নচাপ প্রবল হোক বা দুর্বল হোক, সেটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে সক্ষম হোক বা না হোক, বৃষ্টি নামাবেই। কিন্তু সেই পূর্বাভাস কৃষকের কাছে ঠিকমতো পৌঁছাতে আমরা পারিনি।
অগ্রহায়ণ মাসের সেই বৃষ্টিপাতে ‘রাজার মাগনে’ যাওয়ার অবস্থা হয়। কৃষককে মধ্য অগ্রহায়ণে দেখতে হয় তাঁর ফসলের সর্বনাশ। তাঁদের পাকা ধানে পড়ে মই। পত্রপত্রিকায় ছাপা হতে থাকে মর্মান্তিক সব শিরোনাম, ‘বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ফের মাথায় হাত পড়ল খুলনার কৃষকদের’, ‘কৃষকের সর্বনাশ, কাটা ধান ভাসছে পানিতে’, ‘নোয়াখালীতে ২৩ হাজার হেক্টর ফসল নষ্ট’, ‘১ লাখ ৩৩ হাজার হেক্টর জমির আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত’, ‘কৃষকের স্বপ্নে হানা দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ’, ‘আলুচাষি এখন বিপদে, ভেসে গেছে ঘের-পুকুরের মাছ শুঁটকিমহাল’।
অগ্রহায়ণের পর মধ্য মাঘে কৃষক আবার মার খান অবিরাম বৃষ্টিতে। এই বৃষ্টিরও আগাম খবর ছিল আবহাওয়া অফিসে। কৃষকের কাছে যথাযথভাবে পৌঁছায়নি সেই বার্তা। আলুচাষিরা বেঘোরে মার খান। এ বছর অনেক জায়গায় আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হবে না। বৃষ্টির পরপরই বগুড়ার কৃষি কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, জেলাটিতে ৫৮ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। আশা ছিল, উৎপাদিত হবে কমপক্ষে ১১ লাখ ৮৭ হাজার টন। হঠাৎ মধ্য মাঘের বৃষ্টিতে অধিকাংশ আলুখেতে পানি জমে যায়। জমে থাকা পানি তাড়াতাড়ি নেমে না গেলে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় পড়বেন আলুচাষিরা। সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে সেখানে।
অগ্রহায়ণের গাফিলতি থেকে শিক্ষা নিয়ে মাঘ মাসের কর্মপরিকল্পনা সাজালে কৃষককে একই মৌসুমে দুবার মার খেতে হতো না। শুধু তথ্য দিয়ে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি যে একেবারেই কমিয়ে ফেলা যায়, তার অনেক উদাহরণ আছে। অগ্রহায়ণ আর মাঘের ঝড়–বৃষ্টিতে সেটা আবার প্রমাণ করে দেখাল ভারতের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। ভৌগোলিক ভূখণ্ড একই—তফাত শুধু কাঁটাতারের আর জবাবদিহির।
আমাদের একদল বিজ্ঞানী মনে করেন, কৃষকেরা গাফেল (অবহেলাপরায়ণ)। তাঁরা আবহাওয়ার খবর আমলে নিয়ে হাল–লাঙল ধরেন না; ধরলে আমাদের কৃষির চেহারা অনেক খোলতাই হতো। গত বছরের ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) আয়োজিত ‘ইন্টিগ্রেটেড রাইস অ্যাডভাইজরি সিস্টেমস’ শীর্ষক ওয়েবিনারে অন্তত সে রকম কথাবার্তাই হয়েছে। গবেষকেরা দাবি করেছেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাসভিত্তিক কৃষি পরামর্শ নিয়ে চাষাবাদ করেন মাত্র ৫ শতাংশ কৃষক। তবে সবাই আবহাওয়া পরামর্শ মানলে কৃষিতে ফলন ৭ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব।
এ কথা ঠিক যে ধানের ৬০ ভাগ ফলন নির্ভর করে সঠিক ব্যবস্থাপনার ওপর। সাধারণত তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার চেয়ে বেশি হলে ধান চিটা হয়ে যায়। অতিরিক্ত তাপ ও আর্দ্রতায় ধানগাছে ছত্রাক, রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ বেড়ে যায়। কৃষক এসব দিকে সতর্ক থাকলে আর আবহাওয়ার পূর্বাভাস মেনে চাষ করলে ধান বেশি উৎপাদিত হবে। ওয়েবিনারের সুবিধা হলো, এসব ঢালাও মন্তব্য যাঁদের নিয়ে, তাঁদের কারও কথা এখানে উচ্চারিত হওয়ার সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই যে আবহাওয়ার পূর্বাভাসভিত্তিক কৃষি পরামর্শ অনুসরণ করা নিশ্চিত করা গেলে শস্যের ফলন এখনো ৭ থেকে ১০ শতাংশ বাড়ানো সম্ভব। তাতে উৎপাদন খরচও কমে যাবে প্রায় ১৫ শতাংশ। ফলে কৃষি থেকে আরও ৩১ থেকে ৩৬ শতাংশ আয় বাড়ানো সম্ভব। বিজ্ঞানীদের দাবি, যদি আবহাওয়া পূর্বাভাসভিত্তিক কৃষি পরামর্শসেবা পুরো ধান উৎপাদনব্যবস্থায় সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়, তাহলে এ ক্ষেত্রে ১ টাকা বিনিয়োগে ৫১ থেকে ৭৩ টাকা আয় হবে।
হচ্ছে না কেন
মাঠের কৃষক কীভাবে বুঝবেন তাঁর করণীয় যদি পূর্বাভাসে বলা হয়, ‘দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় “—” কিলোমিটার বেগে দমকা হওয়া বয়ে যাবে, হালকা অথবা ভারী বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হবে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ থেকে ৩ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।’ এ ধরনের পূর্বাভাস আমাদের কৃষি ও মৎস্যশ্রমিকের কাছে অর্থহীন। তাই তাঁদের পক্ষে এসব ‘ভারী পোশাকের’ সতর্কতা ধারণ করা সম্ভব হয় না।
এই প্রসঙ্গে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সাসটেইনিবিলিটির আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল বলেছিলেন, ‘৩০ বছর আগে যে ফরম্যাটে (কাঠামো) আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিত অধিদপ্তর, এই ২০২২ সালেও সেই একই ফরম্যাটে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে থাকে। ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা দেখা গেলে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ১ থেকে ১০ নম্বরের বিভিন্ন সতর্কসংকেত জারি করে সমুদ্র ও নদীবন্দরের জন্য। কিন্তু সেসব সতর্কতা উপকূলীয় এলাকার কিংবা দেশের অভ্যন্তরের বিভিন্ন বিভাগের কৃষকদের জন্য কী গুরুত্ব বহন করে, সে বিষয়ে কোনো তথ্যই থাকে না।’
আধুনিকায়ন চলছে
২০১৯ সালে আমরা জেনেছিলাম, আগামী দুই বছরের মধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আধুনিকায়নের ফলাফল মানুষের দরজায় পৌঁছে যাবে। আধুনিকায়নের জন্য বিশ্বব্যাংকের ঋণে ‘বাংলাদেশ ওয়েদার অ্যান্ড ক্লাইমেট সার্ভিসেস রিজওনাল প্রজেক্ট’ নামে ১২ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলারের একটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের জুন মাসে। প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর। এই প্রকল্পের সঙ্গে আবহাওয়া অধিদপ্তর ছাড়াও যুক্ত রয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ড।
প্রকল্পের আওতায় নানা উদ্যোগে নতুন করে সাজানো হচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মক্ষমতা। কী কী কাজ হচ্ছে, দেখে নেওয়া যাক—
ক. উপজেলা পর্যায়ে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের জন্য ২০০টি স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন। আগের ৪৩টির সঙ্গে নতুন আরও ১৫৭টি উপজেলায় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করার কথা।
খ. দেশের মহানগরগুলোয় জলাবদ্ধতার সমস্যা বিবেচনা করে ঢাকা, চট্টগ্রাম ছাড়াও রাজশাহী ও বরিশাল মহানগরে একটি করে মোট চারটি ‘রেইন গেজ’ স্টেশন নির্মাণ। এগুলো বৃষ্টির পূর্বাভাস, বৃষ্টির পরিমাণ–সম্পর্কিত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে পারবে।
গ. আগের পদ্ধতিতে কেবল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নদ-নদী পর্যবেক্ষণ করা যায়। রাতের বেলায় এ কাজ বন্ধ থাকত। বিশ্বব্যাংকের প্রকল্পের আওতায় আরও ৩০৮টি কেন্দ্র স্বয়ংক্রিয় করা হবে। এর ফলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতি ১৫ থেকে ৩০ মিনিট পরপর নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির তথ্য পাওয়া যাবে।
ঘ. বিশ্বব্যাংকের এই প্রকল্পে বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার তিনটি স্থানে পর্যবেক্ষণ যন্ত্র ‘ওশান বয়’ স্থাপন করার কথা। এর মাধ্যমে দ্রুত সাগরের আবহাওয়া–সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যাবে। ওশান বয় গভীর সাগরে ভাসমান অবস্থায় থাকবে। সাগরের তলদেশে তার দিয়ে আটকানো থাকবে। সেখান থেকে সাগর পর্যবেক্ষণ ও তথ্য সংগ্রহ করবে ওশান বয়। সেসব তথ্য সেন্সরের মাধ্যমে উপগ্রহে পাঠানো হবে। ‘স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন সিস্টেম’ থেকে সরাসরি তা আবহাওয়া অধিদপ্তরের কাছে দ্রুত চলে আসবে।
কৃষকের কাছে পৌঁছানোর নতুন প্রকল্প
‘কৃষি আবহাওয়া তথ্যপদ্ধতি উন্নতকরণ’ প্রকল্পে এখন যুক্ত হবে কৃষি আবহাওয়াবিষয়ক প্রায়োগিক গবেষণা ও ১২টি কমিউনিটি রেডিও স্থাপন। কৃষি আবহাওয়া বিষয়ে দক্ষ জনবল তৈরির জন্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি আবহাওয়াবিষয়ক নতুন বিভাগ চালু হবে। এসব করতে প্রকল্পের খরচ ও মেয়াদ—দুই-ই বাড়বে।
প্রকল্পটির মূল ব্যয় ছিল ১১৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা। সেখান থেকে ৯৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা বেড়ে এখন ব্যয় দাঁড়াচ্ছে প্রায় ২১২ কোটি ৩৭ লাখ টাকায়। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১৫ কোটি ২৩ লাখ এবং প্রকল্প ঋণ থেকে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ টাকার ব্যবস্থা করা হবে।
এটি বাস্তবায়িত হলে আবহাওয়া, জলবায়ু ও নদ-নদীর সামগ্রিক অবস্থা সম্পর্কিত উন্নত মানের পরিষেবা এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য কৃষকের কাছে পৌঁছানো ও এ–সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের উন্নত পদ্ধতি ব্যবহারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
সম্পূরক বেসরকারি উদ্যোগ
কমিউনিটিভিত্তিক ঝুঁকি এবং সম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য উন্নত আবহাওয়া ও বন্যাসংক্রান্ত তথ্যব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং খাদ্যনিরাপত্তা–সম্পর্কিত সুদূরপ্রসারী কার্যক্রমকে বেগবান করার জন্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা কেয়ার একটা উদ্যোগ নিয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে বন্যা পূর্বাভাসের পূর্ব সময় বা লিড টাইম বাড়ানো হয়েছে।
গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা অববাহিকার জন্য ১৫ দিনের সম্ভাবনাভিত্তিক দীর্ঘমেয়াদি বন্যার পূর্বাভাসব্যবস্থা ২০২০ সাল থেকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাসব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া উপজেলাভিত্তিক পূর্বাভাস চালুর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখন উপজেলাভিত্তিক পূর্বাভাস বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়।
বিভিন্ন সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মশালা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশ বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র ও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের কাছে নতুন উদ্ভাবিত এসব ব্যবস্থা হস্তান্তর করা হয়েছে। আশা করা যায়, ওয়েবভিত্তিক এই ‘ভয়েস মেসেজ’–ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর স্বল্প ব্যয়ে পূর্বাভাস ও আগাম সতর্কীকরণ বার্তা প্রেরণ করতে সক্ষম হবে।
শেষ বিচারে জনশক্তিই প্রধান শর্ত
যন্ত্র আর ইমারত তখনই কার্যকরী হবে, যখন সেটা থাকবে দক্ষ জনশক্তির হাতে। আর সেই জনশক্তি রাজকৃপার অপেক্ষায় বসে না থেকে নিজের দক্ষতা বাড়াতে উন্মুখ থাকবে। চিন্তিত থাকবে এই নিয়ে যে তার জ্ঞান আর দক্ষতাকে কীভাবে মানুষের কাজের উপযুক্ত করে তোলা যায়। পৌঁছানো যায় একছুটে।
গওহার নঈম ওয়ারা : লেখক গবেষক