মশা মশা মশা
মশার অত্যাচারে যাচ্ছে না বসা!
মশাগুলো কামড়ায়, ত্বক ফুলে চাকা
মশার অত্যাচারে তটস্থ থাকা।
মশারা রক্ত খায়, প্রবলেম নয়
কোনখানে ভয়?
ভয়ের বিষয় হলো মশাদের লালা
যেটা লেগে ত্বক ফোলে, আর করে জ্বালা।
মশার প্রকার কত! আঁতকে উঠি
কেউ কালো, কেউ সাদা, কেউ ফুটিফুটি।
পঁয়ত্রিশ হাজারেরও বেশি টাইপের মশা
কামড়াতে প্রস্তুত, উড়ে এসে বসা।
দাঁত নেই তবু মশা কামড়িয়ে যায়
রক্ত খাওয়ার সঙ্গে রোগও ছড়ায়।
সব মশা কামড়ায়? না না, উঁহু
কামড়ায় তারা, যারা কালো করে রুহু।
ভালো জানে প্রেমিকেরা, ভালো জানে স্বামী
কাহাদের কথাখানা বলিতেছি আমি।
আমাদের কামড়ায় শুধুই লেডিস মশা
ম্যালেরিয়ায় অ্যানোফিলিস, ডেঙ্গু?—এডিস মশা।
সব পুরুষ মশা নিরামিষভোজী
স্ত্রী মশা আমাদের কামড়ায় রোজই।
অকারণে কামড়ায়? না না, আরে!
পুরুষ পাড়ে না ডিম, স্ত্রী মশা পাড়ে।
ডিম পাড়ে এ কারণে রক্তটা লাগে
অপ্রিয় কামড়ানো স্ত্রী মশার ভাগে।
কেউ দিনে কামড়ায়, কেউ কেউ রাতে
মশাদের মিল আছে মানুষের সঙ্গে।
আছে আছে আছে
পুরুষের থেকে স্ত্রী বেশি দিন বাঁচে।
মশার ছয়টি পা, দুইখানা পাখা
মশার স্বভাব তবু কাছাকাছি থাকা।
মশার শক্তি কম, ছোটে না তো জোরে
পঁচিশ ফুটের নিচে মশাগুলো ওড়ে।
মশার কামড় কেউ বেশি বেশি খায়
ঘামের গন্ধটাকে নিতে হবে দায়।
একেক জনের ঘাম একেকটা ঘ্রাণ
যার ঘাম ভালো লাগে তাকে কামড়ায়।
কীভাবে মশককুল আমাদের খোঁজে?
নিশ্বাস ফেললেই টার্গেট বোঝে।
কার্বন ডাই-অক্সাইড বেশি থাকা মানে
মশাদের টার্গেট আছে ওইখানে।
মশাদের সেন্সর এত শার্প থাকে!
বন্ধ রাখব নাকি নিশ্বাসটাকে?
সারা গায়ে ক্রিম মাখি, ব্যাট রাখি হাতে
কোনো কিছু পারছে না লাইফ বদলাতে।
মশার কয়েল ফেল, স্প্রে মরে লাজে
কোনোটাই লাগছে না মশা মারা কাজে।
জানালায় নেট দিই, মশারিতে ঢুকি
কমছে না ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুর ঝুঁকি।
জুরাসিক কাল থেকে মশা আছে টিকে
কামড়াতে ছড়িয়েছে মশা দিকে দিকে।
দিন-রাত পার করি চড়-থাপ্পড়ে
গাল জ্বলে। তবুও কি পাজি মশা মরে!