মানুষ বনাম ইঁদুর

পাঁচ-সাড়ে পাঁচ শ বছর আগে ইউরোপের শ্বেতাঙ্গ লোকেরা যখন জাহাজ থেকে দলে দলে নামছিল আমেরিকার নতুন আবিষ্কৃত ভূখণ্ডে, তাদের সঙ্গে নতুন এই মহাদেশে পা রেখেছিল আরেক ধরনের যাত্রী। জাহাজের খোলে লুকিয়ে ইউরোপ থেকে আসা কিছু ইঁদুর। তারপর মাটির ওপরে যা যা ঘটেছে, তারই পুনরাবৃত্তি ঘটেছে মাটির তলায়। নিষ্ঠুর ইউরোপীয়রা যেভাবে স্থানীয় অধিবাসীদের কচুকাটা করে কলোনি বিস্তার করেছে, একইভাবে স্থানীয় ইঁদুর প্রজাতির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদের উজাড় করে মাটির তলায় সাম্রাজ্য বিস্তার করেছে ইউরোপীয় ইঁদুরেরা। সেটা ছিল আরেক রক্তক্ষয়ী লড়াই, যার ইতিহাস কেউ লিখে রাখেনি।

আজকের জমানায় নিউইয়র্কের মাটির তলায় যে দুই প্রজাতির ইঁদুর দেখা যায়, দুটোরই পূর্বপুরুষ ইউরোপীয়। ইঁদুর মানে ধেড়ে ইঁদুর, নালা-নর্দমায় লোমশ শরীর নিয়ে যেগুলো ঘুরে বেড়ায়, কথ্য বাংলায় যাদের আরেক ডাকনাম ‘চিকা’। মানুষ যেখানেই গেছে, সেখানেই তাকে ছায়ার মতো অনুসরণ করেছে এই প্রাণীগুলো।

রবার্ট সুলিভান নামের এক লেখক গত বছর প্রকাশিত তাঁর বই র‍্যাটস-এ লিখেছেন, ইঁদুর হচ্ছে মানুষের ‘মিরর স্পিশিজ’। এরা মানুষের সমান্তরাল মহাবিশ্বে বসবাস করে। মানুষের নগর এদের প্রিয় জায়গা।

আমেরিকায় কলোনি বিস্তারের এই ঘটনার সাড়ে পাঁচ শ বছর পরে মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটের এক দোকানদার আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়েছিল একটা চারকোনা প–াস্টিকের তক্তা। আমি তার কাছে ইঁদুর মারার সবচেয়ে অব্যর্থ অস্ত্র চেয়েছি। জবাবে এই তক্তা। জিনিসটা হাতে নিয়ে দেখি, আসলেই এর মধ্যে বুদ্ধির কেরামতি আছে। তক্তার একটা তলে একধরনের ঘন আঠার প্রলেপ দেওয়া।

দোকানদার বুঝিয়ে দিল, ইঁদুর যাওয়া-আসার পথে কীভাবে এটা রেখে দিতে হবে। প্রয়োজনে তক্তার আঠালো তলের ওপর বিস্কুটের টুকরাও রেখে দেওয়া যেতে পারে। প্রলোভন। এর ওপর দিয়ে কোনো ইঁদুর হেঁটে গিয়েছে কি, আটকে যাবে।

আমার ফ্রিজের নিচে ছয় মাস ধরে পড়ে ছিল তক্তাটা। ধুলো পড়ে সাদা হয়ে গেলে একপর্যায়ে ফেলে দিয়েছি। যখন ফেলে দিই, তখন সেটার গায়ে লেপ্টে ছিল কয়েকটা আরশোলা আর একটা টিকটিকির কঙ্কাল।

এটা ছিল ইঁদুরের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত লড়াইয়ের সর্বশেষ পর্ব। এর আগে আরও বেশ কয়েক রকম চেষ্টা হতাশায় পর্যবসিত হয়েছে। প্রথম দিকে বিষ প্রয়োগে হত্যার চেষ্টা করি আমি। বাজারে গিয়ে দেখি, ইঁদুর মারার কয়েক রকমের বিষ পাওয়া যায়। আমি একে একে সবগুলোই প্রয়োগ করেছি। কোনো কাজ হয়নি।

একধরনের বিষ পেলাম গমের ওপর লাল প্রলেপ মাখানো। দোকানদার আমাকে বুঝিয়ে বলেছিলেন, এগুলো খেলে ইঁদুরের মাথা খারাপ হয়ে যায়। তারা টলতে থাকে। এলোমেলোভাবে টলতে টলতে তারা বাসার চিপাচাপা থেকে ছুটে বাইরে বেরিয়ে যায়। যেখান থেকে এসেছিল, সেই নর্দমায় গিয়েই মারা যায় ইঁদুরেরা। আমি মনশ্চক্ষে মাতালের মতো টলতে টলতে হাঁটতে থাকা কিছু লোমশ ইঁদুর কল্পনা করে খুব পুলকিত হয়েছিলাম।

বিষপ্রয়োগে ব্যর্থতার পর আমার বাসায় ইঁদুর ধরার ফাঁদের অনুপ্রবেশ ঘটতে থাকে। বাজারে তিন ধরনের ফাঁদ পাওয়া যায়। আমি দুই ধরনের ফাঁদ আনলাম। তৃতীয় ধরনের ফাঁদ এতই ভয়ানক যে, বাসায় আনতে সাহস হয়নি।

কোনো কিছুতেই কাজ হয়নি। আমার স্থির ধারণা জন্মেছে, ইঁদুরেরা ফাঁদের কলাকৌশল বুঝতে পারে। হয়তো তারা মানুষের এসব জারিজুরি দেখে নিজেদের মধ্যে হাসাহাসিও করে। রবার্ট সুলিভানের ওই বইতে পড়লাম, ইঁদুরেরা নাকি সত্যি সত্যি হাসতে পারে, তবে কাতুকুতু দেওয়া হলে।

ওপরে নিউইয়র্ক শহরের কথা আলাদা করে বললাম এ জন্যে যে, মনে করা হয় দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি ইঁদুরের বসবাস ওই শহরে। নিউইয়র্ক নাকি ইঁদুরের রাজধানী। মানুষের পৃথিবীতে যেটা ফিন্যান্সিয়াল রাজধানী, ইঁদুরের বিশ্বসভাও যে সেখানেই বসবে, এটা কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়। এত দিন বলা হতো, নিউইয়র্কে প্রতি একজন মানুষের বিপরীতে চারটি করে ইঁদুর আছে। পরে জানা গেছে, কথাটা অতিরঞ্জন, আরবান লেজেন্ড। সর্বশেষ গবেষণা জানাচ্ছে, শহরে প্রতি চারজন মানুষের জন্য একটা করে ইঁদুর। তার মানে ইঁদুরের সংখ্যা ২০ লাখ। ২০ লাখ! হ্যামিলন শহরের সঙ্গে তফাতটা কোথায়?

নিউইয়র্কে প্রত্যেক মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির একটা অংশ জুড়ে থাকে ক্ষমতায় এলে ইঁদুর নিধনে কী করবেন তার ফিরস্তি। কাজেই শহরের বর্তমান মেয়র বিল দ্য ব্ল্যাসিও যে জোব্বাপরা এক বংশীবাদকের প্রতীক্ষায় তৃষিত চেয়ে থাকবেন, তাতে আর অবাক কী। আর শোনা যাচ্ছে, এমন এক বংশীবাদককে অবশেষে নাকি পাওয়াও গেছে। তিনি এক নারী প্রাণিবিজ্ঞানী। এক অভিনব বুদ্ধি বের করেছেন তিনি। কিন্তু তাঁর কথায় পরে আসছি।

মানুষের সঙ্গে ইঁদুরের লড়াই বহু বছরের পুরোনো। সম্ভবত নব্য প্রস্তর যুগ থেকে চলে আসছে এই লড়াই। দুই প্রজাতি পরস্পরকে ধ্বংস করে ফেলতে চেয়েছে। উজাড় করে দিতে চেয়েছে পৃথিবীর বুক থেকে। কিন্তু পরিহাস, তারা বসবাসও করেছে সবচেয়ে পাশাপাশি, বলতে গেলে গলায় গলায়।

মানুষ ইঁদুরকে খতম করতে চেয়েছে মূলত বিষ প্রয়োগ করে। আর কত রকম বিষই না গবেষণাগারে বানাতে হয়েছে মানুষকে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা থ্রম্বোসিস মানুষের একটি নিয়মিত রোগ। বয়সকালে বেশির ভাগ লোকই এ রোগে মারা যায়। এ রোগের চিকিত্সায় বিজ্ঞানীরা ১৯৪০-এর দশকে একটা ধন্বন্@রি পেয়ে গেলেন। এমন একধরনের যৌগ তাঁরা আবিষ্কার করে ফেললেন, যেগুলোকে বলে অ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট বা ‘রক্তপানিকারক’। কিন্তু মানুষের প্রাণরক্ষায় ব্যবহারের চিন্তা আসতে না আসতেই মানুষের মাথায় আরেকটি বুদ্ধি খেলে গেছে। ওই একই ওষুধ এবার ব্যবহার করতে হবে তার প্রজাতিগত চিরশত্রুর বিরুদ্ধে। অ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট দিয়ে তৈরি হয়েছে ইঁদুর নিধনের সবচেয়ে প্রাণঘাতী বিষ। এর সামান্য একটি ফোঁটা ইঁদুরের পেটে গেলেই রক্তনালি ফেটে চৌচির।

মানুষ এই বিষ বৃষ্টির মতো ছড়িয়ে দিয়েছে খেতে-খামারে, বাসাবাড়ির অন্ধকার কোণে। চলি–শের দশকের পর থেকে এভাবে কত যে ইঁদুর নিভৃত কোণে আর্তচিত্কার দিয়ে মরেছে কাতারে কাতার, তার ইয়ত্তা নেই। ১৯৬০-এর দশক থেকে মানুষ ডিডিটি ব্যবহার করতে শুরু করে। আজকের জমানায় কোনো কোনো জায়গায় হেলিকপ্টার দিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকায় ইঁদুরের বিষ ছিটানো হয়।

আজকের দিনে প্রতিটি বাসাবাড়িতে দেরাজে-কাবার্ডে-কুলুঙ্গিতে কোনো না কোনো ইঁদুরের বিষ মিলবেই। বহু মানুষ এই বিষ খেয়ে মরেছে। কেউ খেয়ে ফেলেছে ভুলবশত, কেউ ইচ্ছে করে, আত্মহত্যার মানসে। এগুলোকে এই দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের কোল্যাটারাল ড্যামেজ বা নিরীহ শিকার বলে মেনে নিতে হবে। না নিয়ে উপায় কী।

ইঁদুরেরাও মানুষকে ধ্বংস করতে চেয়েছে নানা রকম রোগ ছড়িয়ে। ইতিহাসে অন্ত দুবার বিউবনিক প্লেগের কবলে পড়ে মানবজাতির প্রায় উজাড় হওয়ার দশা হয়েছিল। প্লেগ ছাড়াও আরও বিচিত্র রকম রোগ শরীরে নিয়ে ঘোরাফেরা করে ইঁদুর। ময়লা নর্দমার কিলবিল করা ১৮ রকমের প্রাণঘাতী ব্যাকটেরিয়া শরীরে বয়ে আনে ইঁদুরেরা। রাতের অন্ধকারে পানির পাইপ বেয়ে উঠে এসে ঘরে ঘরে ছড়িয়ে দেয় সেই জীবাণু। এ-ও এক প্রতিশোধ বটে মানুষের বিরুদ্ধে।

প্রজাতিবিধ্বংসী হিসেবে দুনিয়ায় ভীষণ কুখ্যাতি মানুষের। বিশ্ব বন্য প্রাণী তহবিলের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন বলছে, ২০২০ সাল নাগাদ দুনিয়ার দুই-তৃতীয়াংশ প্রাণী উজাড় হয়ে যাবে শুধু মানুষের কারণে। এর অধিকাংশই ঘটছে মানুষের অজান্তে। অথচ মানুষ জেনেশুনে সজ্ঞানে সর্বশক্তি দিয়ে যে প্রাণীটির ধ্বংস চাইছে, তাকে ধ্বংস তো করা সম্ভব হয়ইনি, বরং ইঁদুরের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে মানুষের অনুপাতে।

সবচেয়ে ভয়ানক খবর হলো, মানুষের উদ্ভাবন করা অধিকাংশ বিষের বিরুদ্ধে শারীরিক প্রতিরোধ গড়ে নিয়েছে ইঁদুরেরা। কোনো বিষে আর কাজ হয় না। 

গত বছরের অক্টোবরে সিবিএস টেলিভিশনের খবরের শিরোনামে বলা হয়েছিল, ‘নিউইয়র্ক শহর বনাম ইঁদুর যুদ্ধে ইঁদুরেরাই জিতে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।’

যেটা নিউইয়র্কের ক্ষেত্রে সত্য, সেটা সত্য সারা পৃথিবীর জন্যই। কেন? ইঁদুরের এই অপ্রতিরোধ্য বিস্তাারের পেছনের কারণ কী? বলা হয়, বিবর্তনের রাস্তায় ইঁদুরের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হলো এর বংশবিস্তারের ক্ষমতা। অদ্ভুত দ্রুততায় বংশবিস্তার করে ইঁদুরেরা। একটা পুরুষ ইঁদুর দিনে ২০ বারের মতো যৌনমিলন করে। স্ত্রী ইঁদুর প্রতি ২১ দিনে নতুন করে সন্তানের জন্ম দেয়। প্রতিবারে সাত-আটটি করে। ইঁদুরের বার্ধক্যকাল বলে কিছু নেই। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তারা তরুণ। একটি ইঁদুর পরিবারকে নিরুপদ্রব থাকতে দিলে এক বছরের মধ্যে ১৫ হাজার ইঁদুরের এক বিশাল কলোনি তৈরি করে ফেলবে। ফলে সংখ্যার যুদ্ধে মানুষ কখনো ইঁদুরের সঙ্গে পেরে উঠতে পারবে না। শুধু মেরে ফেলে তাদের উজাড় করা যাবে না, তা যত বড় নিধনযজ্ঞই চালানো হোক না কেন।

এই অসহায় অবস্থায় নিউইয়র্ক শহরের মেয়র ডেকেছেন লরেটা মায়ার নামের এক জীববিজ্ঞানীকে।

লরেটার কানে এসেছে, মেয়রের হাতে নাকি এক বিশেষ ধরনের বাঁশি আছে। এক বিশেষ ওষুধ। সেই ওষুধের নাম কন্ট্রাপেস্ট।

লরেটার ইঁদুরের কোনো বিষ তৈরি করেননি। এরিজোনাভিত্তিক তার প্রতিষ্ঠান সেন্সটেক যে ওষুধ তৈরি করেছে, তা ইঁদুরের সবচেয়ে বড় অস¿টিই ভোঁতা করে দেবে। এটি বন্ধ্যা করে দেবে ইঁদুর পরিবারগুলোকে। লরেটা মায়ার বলছেন, একবার বংশবিস্তারের পথ বন্ধ করে দিতে পারলে ইঁদুরেরা চিরতরে বিদায় নেবে পৃথিবীর বুক থেকে।

সমস্যা একটাই। লরেটার এই জন্মনিরোধ পিল ইঁদুরেরা খাবে কেন? প্রথমত ইঁদুর এমন এক প্রাণী, যা নতুন যেকোনো কিছুকে ভয় পায়। ছুঁয়েও দেখে না। দ্বিতীয়ত শহুরে ইঁদুরেরা সারাক্ষণই এমন ভরপেট থাকে যে, তাকে বাড়তি কিছু দিয়ে খাওয়ানো মুশকিল। অর্থাৎ এখানেও সেই আদি প্রশ্ন: ইঁদুরের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে?

লরেটা বলছেন, তিনি এরও সমাধান পেয়ে গেছেন। গবেষণায় দেখা গেছে, ইঁদুরকে প্রচুর তরল খাবার খেতে হয়। ফলে এমন মিষ্টি এক তরল খাবার তৈরি করা গেছে, যেটা চুকচুক করে চেটেপুটে খাবে ইঁদুরেরা।

লরেটা মায়ার কাজ শুরু করে দিয়েছেন নিউইয়র্কে। শোনা যায়, এতে কাজ হচ্ছে। শহরের সাবওয়েতে ধাবমান মেট্রোর হুইসেলের সঙ্গে সঙ্গে লরেটার মোহন বাঁশির ধ্বনিও শুনতে পাচ্ছে রেলপথের তলার খোড়লে লুকিয়ে থাকা ইঁদুরকুল।

আমার ফ্রিজের তলা থেকে একটি ইঁদুরের মুখ উঁকি দিচ্ছে। কিছুদিন আগেও ওই খানে আঠালো তক্তাটা ছিল। তাকে দেখে লরেটা মায়ারের কথা মনে পড়ল আমার। শোনা যায়, চলি–শোর্ধ্ব এই মহিলা গৌতমবুদ্ধের ভক্ত। আমি কল্পনা করলাম, লরেটা বুদ্ধের মতো ধ্যান করছেন। তার বাড়িয়ে ধরা এক হাতে একটি বিষপাত্র। ইঁদুরের প্রজাতি ধ্বংসের তরল বিষ।

আমি দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। অ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট আর ডিডিটির পর ইঁদুরের রাজ্যে সম্ভবত আরেকটি বড় হলোকস্ট আসন্ন। নিজেদের উজাড় হওয়া ঠেকাতে নতুন কোনো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে ইঁদুরকুলকে। বিবর্তনের অন্ধ লটারি তাদের কোনো নতুন পথ দেখাবে হয়তো। অথবা পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে ইঁদুর প্রজাতি। তখন কি প্রজাতিগত নিঃসঙ্গতা গ্রাস করবে মানুষকে? একটা ছায়াসঙ্গীর অভাববোধ করবে তারা?

লেখক: সাংবাদিক।