হিটস্ট্রোক কীভাবে হয়?

কয়েক মাস আগেও প্রচণ্ড গরম ছিল। ঢাকায় তাপমাত্রা সেসময় ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীতে বয়ে গেছে আগুনের হলকা। সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা উঠেছিল প্রায় ৪০ ডিগ্রি। আমাদের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা প্রায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাইরের তাপমাত্রা যদি ৪০-৪৫ ডিগ্রি বা তারও বেশি উঠে যায়, আর সে কারণে যদি দেহের ভেতরের (কোর) তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৫৬ ডিগ্রি বা তার চেয়েও বেশি হয়, তাহলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। সাধারণত এ রকম হয় না, কারণ শরীর তার নিজস্ব ব্যবস্থায় ঘাম ঝরিয়ে বা অন্যান্য উপায়ে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে একপর্যায়ে বিপর্যয় ঘটতে পারে।

হিটস্ট্রোক শরীরকে নিস্তেজ করে ফেলে। অতিরিক্ত তাপে লাংগস, হার্ট, কিডনিসহ দরকারি যন্ত্রপাতি ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন কমে যায়, মাথা ঝিমঝিম করে। দেহকোষে তরল সরবরাহ কমে যায়, কোষগুলো প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। এসবই হচ্ছে হিটস্ট্রোকের লক্ষণ।

এ রকম অবস্থায় দ্রুত চিকিত্সকের কাছে যেতে হবে। কাছাকাছি কোনো হাসপাতাল বা ক্লিনিকে যাওয়া ভালো। অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ একটি পর্যায়ের পর মারাত্মক পরিণতির মুখে পড়তে হতে পারে।

তাই অতিরিক্ত গরমে সরাসরি রোদে না যাওয়া ভালো। অতিরিক্ত পরিশ্রম করা থেকে বিরত থাকা উচিত। পানি বেশি পান করতে হবে।

চট করে অবশ্য হিটস্ট্রোক হয় না। কিন্তু সতর্ক থাকা ভালো।

হিটস্ট্রোকের কথা ভাবতে ভাবতে অফিসের কাছে চলে এলাম। সৌভাগ্যই বলতে হবে। হিটস্ট্রোকে পড়তে হলো না। এ জন্য সিএনজির চালককে তার সদাশয়তার জন্য মিটারের চেয়ে কিছু টাকা বেশি দিলাম। চালক তো মহাখুশি! আমিও খুশি, কারণ মিটারে ভাড়া উঠেছিল অন্য সিএনজি চালকদের দাবি, তিন শ টাকার এক-তৃতীয়াংশ মাত্র!

সূত্র : দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, জুলাই ২৯, ২০০৯, অনলাইন