দারুণ উৎসাহিত করেছে

১ এপ্রিল প্রথম আলো হাতে নিয়েই ক্রোড়পত্র পড়া শুরু করেছিলাম। এ পাতা-ও পাতা উল্টে বন্ধুসভা পাতায় চোখ রাখতেই আচমকা নজরে এল কুইজের বিজ্ঞপ্তি। জাহানারা ইমামের একাত্তরের দিনগুলি বইটি নিয়ে অনলাইন কুইজ আয়োজন। বইটি অনেক আগে পড়েছিলাম। তারপর ভাবলাম উত্তর দিয়ে দিই। লিংকে ঢুকে পড়ি। উত্তর দিতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি। দশটি প্রশ্নের উত্তর ভালোভাবেই দিয়ে দিলাম।

আমার লটারি ভাগ্য একদম ভালো না। শেষ কবে লটারিতে পুরস্কার পেয়েছি মনেও করতে পারি না। তাই একসময় কুইজে অংশ নেওয়ার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম।

সেদিন বাসায় ঢুকেই আম্মুর কাছে শুনি, বন্ধুসভা থেকে ফোন দিয়েছিল। আমি তো অবাক, একদম আকাশ থেকে পড়ার মতো অবস্থা। সঠিক উত্তরদাতাদের মধ্য থেকে আমি নাকি তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ী হয়েছি। পরে তো বন্ধুসভার পাতায় ছবি প্রকাশিত হলো। পত্রিকার পাতায় নিজের ছবি দেখে অনেক ভালো লাগছিল।

কলেজে ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। বন্ধুরা এসে যখন অভিনন্দন জানাচ্ছিল, অনেক ভালো লাগছিল। কেউ কেউ মজা করে বলছিল, ‘তুই তো বিখ্যাত হয়ে গেলি!’

এরপর অপেক্ষায় ছিলাম পুরস্কার পাওয়ার। ২৫ এপ্রিল যখন পুরস্কারের বইগুলো হাতে পেলাম, আমার আনন্দ আর কে দেখে। অনেকগুলো বই। পুরস্কার পাওয়ার আনন্দ যে এত বেশি, কীভাবে বোঝাব!

ধন্যবাদ প্রথম আলো বন্ধুসভাকে এত সুন্দর উপহার দেওয়ার জন্য। বন্ধুসভার আয়োজনটি আমাকে দারুণ উৎসাহিত করেছে।