রায়গঞ্জে পাঠকদের আনন্দ
প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় পাঠক, সুধীবৃন্দ ও বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে আনন্দ আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে।
গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা সদর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় চত্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। প্রথম আলোর রায়গঞ্জ প্রতিনিধি সাজেদুল আলম সূচনা বক্তব্য দেন। রায়গঞ্জ বন্ধুসভার সদস্য শাহানা ইয়াসমিন ও আলহাজ আহমেদ অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে জঙ্গিবাদ ও মাদক থেকে দূরে এবং ভালোর সঙ্গে থাকার শপথ পাঠ করান মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক আবদুল খালেক মন্টু।
উপজেলার প্রবীণ প্রধান শিক্ষক বিজয় কুমার সাহা বলেন, ‘এই সময়ে ভালোর সাথে থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রথম আলো এগিয়ে যাচ্ছে।’ প্রবীণ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অসীম কুমার চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিদিন প্রথম আলো পড়ি আর নতুন নতুন ভালো খবর পাই।’ ভালোর সঙ্গে প্রথম আলোর এ যাত্রা দীর্ঘজীবী হোক বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। রায়গঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবদুল্লাহ আল পাঠান বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে প্রথম আলোর জন্য অপেক্ষা করি। কারণ প্রথম আলোই সবার ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রায়গঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার এ কে এম জহুরুল ইসলাম, রায়গঞ্জ উপজেলা সদর ধানগড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা সরকার, জনতা ব্যাংক লিমিটেড ধানগড়া শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ইমদাদুল হক, রায়গঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কে এম রফিকুল ইসলাম, ওঁরাও ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও নিমগাছি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক যোগেন্দ্রনাথ সরকার, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মানিক চন্দ্র গোস্বামী, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নিজেরা করির রায়গঞ্জ অঞ্চল সমন্বয়ক আছাবুর রহমান, দীপশিখার কর্মকর্তা কনকলতা মিঞ্জি, সিআইপিআরবির রায়গঞ্জ প্রকল্প সমন্বয়কারী জোবায়ের আলম, ব্যুরো বাংলাদেশের কর্মকর্তা আবুল কাশেম, উপজেলা আইসিটি বিভাগের এপি মোহায়মেনু, উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা খাদিজা নাসরিন, উপজেলা দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা নাসরিন খন্দকার, পরিবেশবাদী সংগঠন স্বাধীন জীবনের নির্বাহী পরিচালক আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বন্ধুসভার সদস্য ও স্থানীয় শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি ও অভিনয় পরিবেশন করেন। ৫ নভেম্বর উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের খইচালা আদিবাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪০ শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষা উপকরণ তুলে দেওয়া হয়।