এত গুণ আনিসের!

গাজী আনিস
গাজী আনিস

আমাদের বন্ধু গাজী আনিস। পড়াশোনা করেছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে। সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগে।  বর্তমানে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে কাজ করছেন।  যুক্ত আছেন প্রথম আলো বন্ধুসভার সঙ্গে। তিনি বর্তমানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভার সভাপতি।
হালকা গড়নের ছিপছিপে তরুণ। নানা গুণে গুণান্বিত আনিস। কথার জাদু জানেন তিনি। তাঁর কথায় মাতিয়ে রাখেন আশপাশের মানুষকে।  বিশেষ গুণের মধ্যে রয়েছে মাত্র ২০ সেকেন্ডে দেশের ৬৪ জেলার নাম বলতে পারা। তিনি এক মিনিটে মানবদেহের ২০০ রোগের নাম বলতে পারেন।  ২ মিনিটে বলতে পারেন ৪১১ জন নারীর নাম।
বিশ্বের ১৯৭টি স্বাধীন দেশের নাম এবং মাইকেল এইচ হার্ট রচিত ১০০ মনীষীর নাম বলতে তাঁর সময় লাগে ১ মিনিট ২০ সেকেন্ড।  রবিঠাকুরের ৯৫টি ছোটগল্পের নাম, ৭৪ প্রজাতির মাছের নাম, ১৪৫ জন কবির নাম, তাঁর বন্ধুদের নাম, বিভিন্ন ভাষার নাম ও বিভিন্ন অঞ্চলের নামসহ ২০ আইটেমের সাড়ে ৩ হাজার নাম তাঁর ঠোঁটস্থ।

যুব ছায়া সংসদ অধিবেশনে বক্তব্য পেশ করছেন গাজী আনিস
যুব ছায়া সংসদ অধিবেশনে বক্তব্য পেশ করছেন গাজী আনিস

দেশের নানা প্রান্ত থেকে তাঁর প্রতিভা দেখার জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পান তিনি। একাধারে তিনি কবিতা, ছড়া কবিতা ও ছোটগল্প লেখেন। তিনি একজন জাদুশিল্পীও বটে। মঞ্চে জাদু দেখতে বড় বড় আয়োজনে ডাক আসে তাঁর। অবসরে বই পড়তে ভালোবাসেন, লেখালেখি করেন।

সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রামে গাজী আনিসের জন্ম।  শৈশব, কৈশোর কেটেছে সেখানেই। ছেলেবেলা থেকেই প্রকৃতির মধ্যে বেড়ে উঠেছেন। তাঁর বাবা পেশায় একজন চিংড়িচাষি এবং মা গৃহিণী। পরিবারে দুই ভাই এক বোনের মধ্যে ছোট আনিস। ভুরুলিয়া নাগবাটি স্কুলে মাধ্যমিক এবং শ্যামনগর সরকারি মহসিন কলেজ থেকে শেষ করেছেন উচ্চমাধ্যমিক।

যাদু প্রদর্শন করছেন
যাদু প্রদর্শন করছেন

আনিসের স্বপ্ন একজন বড় মাপের সাংবাদিক হবেন। সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত দেশের সর্ববৃহৎ যুব ছায়া সংসদের সাংসদ হিসেবে ছিলেন তিনি। টানা তিনবার চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ অধিবেশনে সাতক্ষীরা-৪ আসনের যুব সাংসদ হিসেবে নেতৃত্ব দেন তিনি।

দেশের সেবায় সর্বদা নিয়োজিত থাকতে চান তিনি। নিজ এলাকায় একটি ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি গড়ে তোলার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন তিনি। এর মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে চান।