আলোকিত প্রজন্ম গড়তে

বিতর্কচর্চা মানুষকে বদলে দেয়। প্রতিনিয়ত যুক্তিবাদী মানুষ গড়ার পথ দেখায়। বিতর্কের মধ্য দিয়ে উঠে আসে যুক্তিযুক্ত সত্য। আর সত্য উদ্‌ঘাটিত হলে দূর হবে অন্ধকার-কুসংস্কার। ১৮ নভেম্বর বাগেরহাট বহুমুখী কলেজিয়েট স্কুলে অনুষ্ঠিত পুষ্টি-প্রথম আলো স্কুল বিতর্ক উৎসবে অতিথি ও বিচারকদের বক্তব্যের সারকথা ছিল এটাই।

বাগেরহাটের ক্ষুদে বিতার্কিকেরা
বাগেরহাটের ক্ষুদে বিতার্কিকেরা


‘যোগ দাও যুক্তির মেলায়’ স্লোগানে অনুষ্ঠিত উৎসবের বিতর্ক ছাড়াও ছিল কুইজ প্রতিযোগিতা। আঞ্চলিক পর্বের এই আয়োজনে বাগেরহাট ও পিরোজপুর জেলার সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিতার্কিক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। সকাল ১০টায় জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় উৎসবের। উদ্বোধন করেন ভেন্যু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ফরহানা আক্তার। দিনব্যাপী এই উৎসব ছিল স্কুলপড়ুয়া খুদে বিতার্কিকদের মিলনমেলা।

প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন বাগেরহাট সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ বি এম হাসানুজ্জামান, সরকারি পিসি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আলিমুজ্জামান, বাগেরহাট ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক পারভীন আহমেদ, আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মুখার্জী রবীন্দ্রনাথ, শিক্ষক ও বন্ধুসভার শেখ মুজিবুর রহমান, অনুবাদক মোরশেদুর রহমান, জেলা স্কাউটসের সহকারী কমিশনার শেখ সাকির হোসেন, খানজাহান আলী কলেজের প্রভাষক বুলবুল তালুকদার, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি আহাদ হায়দার, বহুমুখী কলেজিয়েট স্কুলের প্রভাষক মো. লিটন সরদার ও সাদিয়া জাহান।

অতিথিদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী বিতার্কিকদের একাংশ
অতিথিদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী বিতার্কিকদের একাংশ


সমাপনী পর্বে বাগেরহাট বহুমুখী কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষ ফরহানা আক্তারের হাতে ভেন্যু-স্মারক তুলে দেন প্রথম আলোর বাগেরহাট প্রতিনিধি সরদার ইনজামামুল হক। এরপর কুইজ বিজয়ী এবং বিতর্কে বিজয়ী ও রানারআপ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মেডেল ও ট্রফি তুলে দেওয়া হয়। বিজয়ীরা ঢাকায় জাতীয় উৎসবে অংশ নেবে।
উৎসব আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করে বাগেরহাট বন্ধুসভা।