ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভার নৌকাভ্রমণ

৩০ নভেম্বর ‘হাওয়ার তালে, বন্ধুর গানে দূর দিগন্তে, নদীর পানে’ স্লোগান সামনে রেখে কো-অর্ডিনেটর হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভা আয়োজন করে এক নৌকাভ্রমণের। ধুলাবালুর শহর ছেড়ে বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশের ঝাঁঝালো স্বাদ গ্রহণ করার জন্য যাওয়া হয় চাঁদপুর।

চাঁদপুরে নদী পাড়ে বন্ধুরা
চাঁদপুরে নদী পাড়ে বন্ধুরা


ভ্রমণ শুরু হয় সকাল ৭টা ২০মিনিটে ঢাকার সদরঘাট থেকে সোনার তরী লঞ্চে। সবাই মিলে নদীর বুকে একের পর এক চমৎকার সব দৃশ্যের সাক্ষী হয়ে যাই। সবাই একসাথে উপভোগ করা হয় নদীর বুকে সূর্যোদয়। যাত্রা শুরুর কিছুক্ষণ পর সকালের নাশতার মাধ্যমে ভ্রমণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় এবং নাশতা শেষে বন্ধু শুভর কাহন ও সিয়ামের জিপসি বেজে ওঠে হাবিবুর রহমানের কণ্ঠে তাল মেলানোর জন্য এবং একই সঙ্গে সবাই সুর মিলিয়ে গানের তাল তোলেন।

লঞ্চে বন্ধুরা
লঞ্চে বন্ধুরা


বেলা যখন প্রায় ১১টা ছুঁইছুঁই, লঞ্চ পৌঁছায় চাঁদপুর ঘাটে। প্রথমেই যাওয়া হয় ত্রিনদীর মোহনায় এবং সেখান থেকে নৌকায় করে যাওয়া হয় নতুন জেগে ওঠা চরে। আয়োজন করা হয় বন্ধু মানিকের নেতৃত্বে এক ফুটবল খেলা। মো. ফয়সাল ও হাবিবুর রহমান মুন্নার গোলে জয় লাভ করে বন্ধুসভার কো-অর্ডিনেটর হেলাল উদ্দিনের দল। খেলা শেষে নদীতে গোসল করে সবাই ফিরে আসেন পুনরায় ত্রিনদীর মোহনায়। খেলাধুলার শেষ আয়োজন ছিল বল নিক্ষেপ ও হাঁড়ি ভাঙা।

লঞ্চে বন্ধুরা
লঞ্চে বন্ধুরা


বেলা যখন আড়াইটা সবাই প্রস্তুতি নেয় ঝাঁঝালো সেই ইলিশ ভাজার স্বাদ গ্রহণ করার জন্য এবং হোটেলে ইলিশ ভাজার সঙ্গে মাছ ভর্তা, বেগুন ভাজা ও ডাল মিলিয়ে এক মজার ভূরিভোজ করা হয়। মধ্যাহ্নভোজ শেষ করে ফিরে আসা হয় লঞ্চে। কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর শুরু হয় মেয়েদের বালিশ খেলা এবং কো-অর্ডিনেটর হেলাল উদ্দিন ও শুভ কবিতা আবৃত্তি করেন। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে আবার শুরু হয় গানবাজনার আসর। শেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয় প্রায় সবার মধ্যে এবং সন্ধ্যা ৭টায় লঞ্চ এসে পৌঁছায় চির পরিচিত যানবাহনের শহর ঢাকায়। এক দিনের এই ভ্রমণ আমাদের মধ্যে সজীবতা ফিরিয়ে আনে।

উপদেষ্টা, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভা