ভৈরব বন্ধুসভার 'ইতিহাসের পথে'

সময় আর কাটছে না। আর দেরি সইছে না—এই কয়েক দিনে ভৈরব বন্ধুসভার সদস্যরা বাক্যগুলোকে যেন নিত্য সাধারণ বাক্যে পরিণত করে ছেড়েছেন। দেরি সহ্য না হওয়ার কারণ, বনভোজন দরজায় কড়া নাড়ছে। ২৫ জানুয়ারি ভৈরবসভার বনভোজন। গন্তব্য বারো ভূঁইয়াদের প্রধান ঈশা খাঁর রাজধানী নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ। এই যাত্রার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইতিহাসের পথে’।
বনভোজন সফল করার জন্য এরই মধ্যে গঠন করা হয়েছে সাত সদস্যের বনভোজন উপকমিটি। কমিটির আহ্বায়ক সাহিত্য সম্পাদক ইকরাম বক্স। সদস্যসচিব করা হয়েছে অনুষ্ঠানবিষয়ক সম্পাদক সানজিদা সিদ্দিকাকে। যুগ্ম আহ্বায়ক প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক হুমায়রা তানশি, যুগ্ম সদস্যসচিব দপ্তর সম্পাদক মো. সিয়াম। কমিটির সদস্যরা হলেন প্রচার সম্পাদক হাসান মাহমুদ, মানবসম্পদ সম্পাদক শাহরিয়ার জয় ও বন্ধুসভার সদস্য সৌরভ ইসলাম।
উপকমিটির ছাড়াও বনভোজন সফল করতে কাজ করছেন অধিকাংশ বন্ধু। চাঁদা সংগ্রহ, বাস ভাড়া করা, দুপুরের খাবার আর সকালের নাশতা কী হবে—এসব নিয়ে ভাবনার অন্ত নেই তাঁদের। নিমন্ত্রণ করা হয়েছে বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সাইদুজ্জামান রওশনসহ জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের বেশ কয়েকজনসহ নারায়ণগঞ্জ বন্ধুসভার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও প্রথম আলোর সোনারগাঁ প্রতিনিধি মনিরুজ্জামানকে। এরই মধ্যে উপকমিটির সদস্যরা বেশ কয়েকটি পকেট মিটিং সেরেছেন।
সৌরভ ইসলাম প্রথমবারের মতো সোনারগাঁ যাবেন। তিনি বলেন, ‘আমি শিহরিত। কারণ, এই আয়োজনের মাধ্যমে ঈশা খাঁর স্মৃতিবিজড়িত স্থান স্পর্শ করতে পারব। শিল্পাচার্য জয়নুল আবদিনের লোকজ জাদুঘর দেখার সুযোগ পাব।’
বন্ধু সামির রহমানের এর আগে সোনারগাঁ ঘুরে আসার সুযোগ হলেও পানাম নগরী দেখা হয়নি তাঁর। এবার তাঁর সব আগ্রহ পানাম নগরী ঘিরে। সামির জানান, এত দিন বইয়ের পাতায় যে পানাম নগরীর কাহিনি তিনি পড়েছেন, এবার সেটি তার চোখের সামনে ধরা দেবে।
বন্ধু প্রিয়াংকা কারুপল্লি দেখার অপেক্ষায় আছেন। তিনি জানান, কারুপল্লিতে সুন্দর সুন্দর লোকজ তৈজসপত্র ও তৈরি পোশাক পাওয়া যায়। দেখা ও কেনা তাঁর শখ।
সবকিছু ঠিক থাকলে ৬৫ সদস্যের বহর আগামী শুক্রবার ভোরে রওনা হবে ‘ইতিহাসের পথে’। ভৈরবসভার সবকিছু এখন তা নিয়েই।

আহ্বায়ক, বনভোজন বাস্তবায়ন উপকমিটি