বিজয় পতাকায় যেভাবে বাংলাদেশ

একটি কবিতায় বিধ্বস্ত পৃথিবী থেকে বাংলাদেশ ছিনিয়ে আনার প্রতিজ্ঞা;
মুক্তিযুদ্ধে যাওয়া কৃষকের রক্তাক্ত স্বপ্ন—
গোলাপ ফোটাল ছাব্বিশে মার্চ।
বিকট শব্দে প্রতিধ্বনিত হলো দিগ্‌বিদিক বুলেটের আওয়াজে—স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়।
স্টেনগান গোলাবারুদ আর সবুজ রঙের ট্যাংক হামাগুড়ি দিয়ে তছনছ করে দিল—
গর্ভবতী বোনের ধর্ষিত লাশ!

দার্শনিকের ক্ষত-বিক্ষত বিপ্লবী লেখা আজ বিজয় পতাকার উড়ন্ত নিশান।
নূর হোসেনের মতোই অপরাজেয়
বাংলা প্রতিদিনের অধিকার আদায়ের
উচ্চ কণ্ঠের স্লোগান।
বীরাঙ্গনার মতোই আজ স্বোপার্জিত স্বাধীনতা।

ভোরের মানববন্ধনে নির্যাতনবিরোধী বিচার আদায়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রবল আর্তনাদ আজ।
মধ্যরাত থেকে হায়েনার দল বাংলার মাটিতে নৃশংস লাশের স্তূপ বানাল সেদিন!
বেদনা ভরা কণ্ঠ নিয়ে ছুটে এল;
প্রশান্ত মহাসাগরের মতো ঢেউ নিয়ে ছুটে এলেন—
মহানায়ক।

ডাক দিলেন—
মুক্তিযুদ্ধের, স্বাধীনতার।
তখন বাংলার গ্রামে-গঞ্জে, শহরে, খেত-খামারে কৃষক-শ্রমিক, জেলে, তাঁতি, কিষানি, রাখাল-বালক মাথায় গামছা বেঁধে স্লোগানে মুখর হয়ে হাতে তুলে নিল—
লাঠি, কাটারি, দা-বঁটি আর যাঁর যা আছে।
জনসমুদ্রে উত্তাল রেসকোর্স ময়দান
বিদ্রোহে উত্তাল বাংলার জনগণ।
তখনই ভয়ংকর ভয়ে নরপশুরা কলম নিয়ে
প্রথম আত্মসমর্পণ করে করল প্রমাণ।
বিজয় মিছিলে গণজাগরণ, বিজয় জোয়ারে মুক্তিযোদ্ধারা বিজয়োল্লাসে লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে ছিনিয়ে আনল একটি কবিতার স্বাধীনতা,
একটি কবিতার জয়ধ্বনি;