ভৈরব বন্ধুসভার বইমেলা

অতিথির কাছ থেকে ক্রেস্ট গ্রহণ করছেন ভৈরব বন্ধুসভা।
অতিথির কাছ থেকে ক্রেস্ট গ্রহণ করছেন ভৈরব বন্ধুসভা।


১৬ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি, আট দিনব্যাপী ভৈরবে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বইমেলা আয়োজন। ‘বন্ধুসভা বইঘর’ নামে একটি স্টল দেয় ভৈরব বন্ধুসভা। মেলায় ১৭টি স্টলের মধ্যে ভৈরব বন্ধুসভা প্রথম স্থান অর্জন করে সেরা স্টল হয়।
অতিথির কাছ থেকে ক্রেস্ট গ্রহণের সময় উপস্থিত ছিলেন, বন্ধুসভার উপদেষ্টা সুমন মোল্লা, সভাপতি আসাদুজ্জামান সোহেল, সহসভাপতি নাহিদ হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক আল আমিন (তুষার), বন্ধু তমা ও ওয়াহিদা আমিন (পলি)।
ওয়াহিদা আমিন বলেন, ‘২০১৮ সালে বন্ধুসভা সেরা স্টল হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা এবারও বজায় রয়েছে; অভিনন্দন সবাইকে।’
উপসাংগঠনিক সম্পাদক অর্ণব গণি বেশ উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, ‘আমাদের সবার পরিশ্রম সফল হয়েছে, আমরা পেরেছি।’
বইয়ের মান, স্টল সজ্জা ও শৃঙ্খলা—সব দিক বিবেচনা করে সেরা স্টল বিবেচনা করে বইমেলা কর্তৃপক্ষ। এবার প্রথমা প্রকাশনের নিরপরাধ ঘুম, সফল যদি হতে চাও ও ভাষারীতি এবং দন্তস্য রওশনের ধন্যবাদ শৈশব ও আয়মান সাদিকের স্টুডেন্ট হ্যাকস বইগুলোর বেশ ভালো বিক্রি হয়।
প্রতিদিন মঞ্চে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও মঞ্চনাটকের আয়োজন করা হয়। ভৈরব বন্ধুসভা মহুয়া গীতিনাট্য মঞ্চায়ন করে সবার ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করে। নাট্য নির্দেশক বন্ধু সুমাইয়া হামিদকে (দিয়া) সেরা নাট্য নির্দেশকের পুরস্কার প্রদান করে বইমেলা কর্তৃপক্ষ।
বইয়ের সঙ্গে এই কয়েকটি দিন কাটিয়ে অনেক লেখকের নামসহ বইয়ের নাম মুখস্থ হয়ে গেছে। একসঙ্গে কাজ করে সাংগঠনিক ও আন্তযোগাযোগ বৃদ্ধি পায়, বইমেলার স্টলে ছিল সদস্য সংগ্রহ বুথ; যা থেকে বেশ কয়েকজন নতুন সদস্য যোগ দেন ভৈরব বন্ধুসভায়। বিভিন্ন ধরনের সৃজনশীল আয়োজনের মাধ্যমে মেলা প্রাঙ্গণ মুখরিত ছিল সব সময়। ভৈরবসভার বন্ধুরা আনন্দ আড্ডায়, উৎসবের আমেজে প্রতিটি দিন উপভোগ করেন।

সহসভাপতি, ভৈরব বন্ধুসভা