বৈশাখের অপেক্ষায়

কালো রঙের মলিন, ছেঁড়াটোরা পোশাকে
ছোট্ট ছেলেটিকে দেখেছি পথের ধারে থালা নিয়ে,
আমি দেখেছি কত মাকে ধুলোমলিন শাড়িতে,
দেখেছি কত শিশু পান্তাভাত আর ইলিশ কোথায়
শূন্য থালায় বসে।
আমি দেখেছি এক দিনমজুর
চালের টাকায় লাল পেড়ে শাড়ি কেনে,
তার ছোট্ট মেয়েটি বৈশাখী সাজে সাজবে বলে,
মেয়ের মুখের হাসিতে তাদের অন্ন জুটে।
হায়! এ কী রূপ বৈশাখের!
এ কী রূপ আমার বাংলা মায়ের!
ওদের বৈশাখ এত মলিন! কেন?
আর...আর আমাদের বৈশাখ এত রঙিন কেন?
সেই দিন থেকে ওই লাল পেড়ে শাড়ি আমাকে কোনো আনন্দ দেয় না,
প্রশ্ন জাগে আমি কি আদৌ বাঙালি?
তবে কেন আজও পারিনি আমার
মলিন মাকে একখানা রঙিন শাড়ি পরাতে?
কেন রাস্তার ধারে শিশুরা শূন্য থালা হাতে?
কেন নাই ওরা মোদের আনন্দ শোভাযাত্রায়?
যেদিন পারব...
সেদিন আমার মায়ের হাসিতে আর
মায়ের শত অনাহারী শিশুর রঙিন হাসিতে
বৈশাখী রঙে সাজব।
আমি সেই বৈশাখের অপেক্ষায়।

ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়