ভালোবাসি মা

জীবনযুদ্ধে বাবা যদি হন তলোয়ার, মা আমাদের ঢাল। ঢাল হয়ে মা কতবার আমাদের রক্ষা করেছেন সে হিসেব করা বৃথা।

এরই মধ্যে একটি ঘটনা খুব বেশি করে মনে পড়ে। তখন আমি খুব ছোট। কিন্ডারগার্টেনে পড়ি। একবার এলো ধুম জ্বর। এরই মধ্যে যে জিনিস ওই বয়সে সাহস হয়ে দাঁড়িয়েছিল, তা আমার মা। যিনি কাকডাকা ভোর থেকে অমানুষিক পরিশ্রম করে যান, সবাইকে ব্রেকফাস্ট তৈরি করে দেওয়া, আমার বড় ভাইকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া। আবার এসে আমাদের দুপুরের খাবার বানানো, বড় ভাইকে আবার স্কুল থেকে নিয়ে আসা...। কোথায় মায়ের খাওয়া-দাওয়া নেই কোনো হিসাব। এরই মধ্যে আবার আমাকে ওষুধপত্র খাওয়ানো, ভাত খাইয়ে দেওয়া সবকিছুই সামলেছেন একহাতে। এরই মধ্যে বলে নেওয়া ভালো, আমাদের বাসায় কখনোই কাজের লোক ছিল না, এমনকি এখনো।

কিন্তু এসবের মধ্যে কোনোটিই সে সময় বিন্দুমাত্র ভাবায়নি। সেই ছোট্ট বয়সে যা দাগ কেটেছিল আমার মনে তা হলো দিন শেষের এক ঘটনা। সারা দিন এত পরিশ্রম করেও, রাতে আমার মা কাটিয়েছিলেন বিনিদ্র রজনী। আমার পাশে বসে থেকে সেবা শুশ্রূষা করে সারিয়েছিলেন আমাকে। রাতে ঘুম ভাঙলেই মায়ের মুখ দেখে আবার ঘুমিয়েছি পরম নির্ভরতায়। যত দিন জ্বর ছিল তত দিনই মায়ের প্রতিরাতের কাজ ছিল এই। বাবা, বড় ভাই কত বলেছে ঘুমিয়ে যাও কিন্ত মাকে তার কাজ থেকে নিবৃত্ত করা যায়নি।

মা, কত দিন কত ভাবে কষ্ট দিয়েছি তোমায় না বুঝে। কিন্ত তোমার মমতায় মাখা হাত কখনোই সরেনি মাথার ওপর থেকে।
ভালোবাসি মা, ভালোবাসি তোমায় অনেক বেশি।

শেখ কামাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বন্ধুসভা