চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও আমাদের প্রস্তুতি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও আমাদের প্রস্তুতি শীর্ষক কর্মশালা
চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও আমাদের প্রস্তুতি শীর্ষক কর্মশালা


বিকেল তখন ৪টা বেজে ৪৫ মিনিট৷ আলোচনার বিষয় ছিল ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও আমাদের প্রস্তুতি’। আলোচক ছিলেন প্রথম আলো বন্ধুসভার সহসাংগঠনিক সম্পাদক ফিজার আহমেদ।
একটি ভিডিও ক্লিপ দিয়ে আলোচনা শুরু হয়৷ ভিডিওতে দেখা যায়, জার্মানির ইন্ডাস্ট্রিগুলো তাদের কাজ ইন্টারনেট প্রযুক্তি ও সেন্সর বোর্ডের সাহায্যে সম্পন্ন করছে, যেখানে সেন্সরের সাহায্যে মানুষের চেয়ে মেশিন দিয়ে অল্প সময়ে অধিক পরিমাণ পণ্য উৎপাদন করা যাচ্ছে। একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দীর্ঘ চার বছর জার্মানি, চায়না, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডসসহ উন্নত বিশ্বের ১০ লাখ মানুষ ইন্ডাস্ট্রি 4.0 সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করছে। এখন এমন একটি সময় চলে এসেছে, যেখানে সবকিছুতেই প্রযুক্তি কাজ করছে।

প্রতিবছরই গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে হাজার হাজার ছেলেমেয়ে বের হচ্ছে, কিন্তু উপযুক্ত চাকরি পাচ্ছে না। দেশের প্রায় ৪৭ শতাংশ শিক্ষিত তরুণ-তরুণী এখন বেকার। আমাদের দেশে অনেক বিদেশির মতো অনেক বিদেশি কোম্পানি আসে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, তারা প্রযুক্তিদক্ষ ছেলেমেয়ে পায় না৷ বাংলাদেশের অনেক গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে, যেখানে বিদেশি প্রযুক্তিদক্ষ কর্মচারীরা এসে কাজ করে প্রতিবছৱ প্রায় ছয় বিলিয়ন মার্কিন ডলার আমাদের দেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছেন। যদি দক্ষ মানুষের অভাব হয়, তবে এমন একটা সময় আসবে, যখন বিদেশিরা এ দেশ চালাবে।

ফিজার আহমেদ বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মালয়েশিয়ার মতো ছোট দেশগুলো আমাদের চেয়েও এগিয়ে। উন্নত দেশগুলোতে কৃষকেরা এখন ড্রোন দিয়ে খেত পরীক্ষা, পাহারা দিচ্ছেন।’ আরও অবাক হওয়ার বিষয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন কোম্পানি আমাজনে তাদের কাজের জন্য কর্মচারী হিসেবে ৪৫ হাজার রোবট ব্যবহার করছে।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের প্রযুক্তিতে দক্ষ হতে হবে এবং আমাদের দক্ষ সমাজ গড়তে হবে। তবেই আমরা উন্নত রাষ্ট্র ও সমাজ উপহার দিতে পারব।

সদস্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা