মিট দ্য এক্সপার্ট

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মিট দ্য এক্সপার্ট আয়োজনে
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মিট দ্য এক্সপার্ট আয়োজনে


৯ তারিখ বিকেলে ঘড়ির কাঁটা যখন চারটা ছুঁই-ছুঁই, তখনই মোবাইল ফোনের পরিচিত সুর বেজে উঠল। চেয়ে দেখলাম কুমিল্লা বন্ধুসভার সভাপতি সাদেক ভাইয়ার ফোন। জানালেন, রওশন ভাইয়া জানিয়েছেন, ১১ তারিখ চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে একটা প্রোগ্রাম আছে, যাব কি না? যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে এখনই কনফার্ম করতে হবে। মায়ের অনুমতি নিয়ে রাজি হয়ে গেলাম যাওয়ার জন্য। কুমিল্লা থেকে আরও একজন যাচ্ছে, সে হলো রিনিকা সরকার। তারপর রওশন ভাইয়ার সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম, প্রোগ্রামটা নাগরিক টিভি দেখাবে। ঢাকা থেকে যাঁরা যাবেন, তাঁরা আমাদের নিয়ে যাবেন কুমিল্লা থেকে।

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মিট দ্য এক্সপার্ট আয়োজনে
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মিট দ্য এক্সপার্ট আয়োজনে


১০ তারিখ বিকেল ৫টায় যুক্ত হলাম ঢাকা থেকে আসা টিমের সঙ্গে। যদিও সবাই অপরিচিত, তবে খুব আন্তরিক। সন্ধ্যায় আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম বিএসআরএমের গেস্টহাউসে। পরিবেশটা খুব মনোরম। গেস্টহাউসের মধ্যে ব্যাডমিন্টন কোর্টের চারপাশ ঘিরে মানিপ্ল্যান্টগাছ দেখেই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। সব রকম আয়োজন শেষে আমরা রুমে গেলাম। সকালবেলা প্রোগ্রাম। ব্রেকফাস্ট টেবিলে গল্প, যাকে নামকরণ করা হয়েছে ‘মিট দ্য এক্সপার্ট’।

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মিট দ্য এক্সপার্ট আয়োজনে
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মিট দ্য এক্সপার্ট আয়োজনে


আমাদের মধ্যে এক্সপার্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসআরএমের এমডি আমির আলিহুসাইন। তাঁর জীবনের গল্প জানতে এবং আমাদের তরুণদের কাজের প্রতি আগ্রহ, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করার জন্য এই আয়োজন। নাশতার টেবিলে আমরা ১২ জন অংশ নিয়েছিলাম এবং প্রত্যেকেই ভিন্ন জায়গা থেকে আসা। কেউ কুমিল্লা, কেউ চট্টগ্রাম, কেউ ফেনী, কেউবা গোপালগঞ্জ। আমাদের প্রোগ্রাম সঞ্চালনা করছিলেন প্রথম আলোর যুব কর্মসূচির সমন্বয়ক মুনির হাসান। আমাদের গেস্ট আমির আলিহুসাইনের কাছ থেকে প্রশ্নের মাধ্যমে আমরা জেনে নিচ্ছিলাম শঙ্কার জায়গাগুলো কীভাবে আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব। প্রথম আলো আমাদের উপহার দিল বই, যা আমাদের আরও বেশি অনুপ্রাণিত করবে। নাশতা খাওয়ার পর আমাদের নিয়ে যাওয়া হলো ইন্ডাস্ট্রিয়াল সাইটে। বিএসআরএমের কাজের পদ্ধতি, তাদের সফলতা এবং ইন্ডাস্ট্রির ভেতরে যাওয়ার পর কী কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, এর ওপর ব্রিফ করে আমাদের নিয়ে যাওয়া হলো সেখানে। আবার ফিরে এলাম গেস্টহাউসে। তারপর দুপুরের খাবার খেয়ে অনেক অনেক আত্মবিশ্বাস সঞ্চার করে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বেরিয়ে পড়লাম চিরচেনা শহরের উদ্দেশে। তবে হ্যাঁ, আমি কিন্তু আমাকে মুগ্ধ করা মানিপ্ল্যান্টগাছের শাখা নিয়েই ফিরেছি, উদ্ভিদবিজ্ঞানের ছাত্রী বলে কথা।

সাংগঠনিক সম্পাদক, কুমিল্লা বন্ধুসভা