প্রেরণার উৎস গ্রিস

প্রেরণার উৎস গ্রিস।
প্রেরণার উৎস গ্রিস।

প্রায় তিন হাজার বছর আগে পৃথিবীতে প্রায় ১৮টি সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। তার মধ্যে গ্রিস সভ্যতার স্থান প্রথম! গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের জনসংখ্যা ছিল ৩ লাখ। তার মধ্যে ১ লাখ ছিল ক্রীতদাস, অর্ধেক নারী। গ্রিকরা বিশ্বাস করত নারীদের আত্মা নেই, তাদের কোনো কথা, কথা নয়। সুতরাং থাকল ১ লাখ পুরুষ। আবার ১ লাখ থেকে যদি বাদ দিয়ে দেওয়া হয় শিশু-কিশোর, থাকল ৫০ হাজার, বহিরাগত ৫০ হাজার লোক। ২০০ বছরে সৃষ্টি হলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সভ্যতা, গ্রিক সভ্যতা। আর গ্রিক সভ্যতা গড়ে উঠেছিল প্রেরণা-স্বপ্ন দিয়ে।

প্রেরিক্লিস যখন এথেন্স শাসন করতেন, তখন ১৮ বছরের ছেলেদের রাষ্ট্রের অনুষ্ঠানে উপস্থিত করতেন। ১৮ বছরের ছেলেদের রাষ্ট্রের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সবার সামনে প্রতিজ্ঞা করতে হতো এই মর্মে, আমার জন্মের সময় যে এথেন্স পেয়েছি, মৃত্যুর আগে আরও উন্নত এথেন্স পৃথিবীর বুকে রেখে যেতে চাই। এটা ছিল তাদের মূল চাবিকাঠি।

গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে ঐতিহাসিক বাকাকটো শহর, যেখানে রয়েছে পাহাড়ের বেষ্টনী, রাজার বাড়ি, প্রাচীন মসজিদ। এ ছাড়া রয়েছে গির্জা ও ভূ–মধ্যসাগরের অপরূপ সৌন্দর্য। বন্দর সব সময় শহরটির জন্য সমৃদ্ধির উৎস ছিল। ১৫৭১ খ্রিষ্টাব্দে প্রবেশদ্বারে লেপান্ডো যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, যখন ভেনিস জেনোভাতে যোগদানের সময়, স্পেন, অ্যালিসগুলো অটোমান নৌবহরকে পরাজিত করে। বন্দর প্রতিরক্ষা সংরক্ষণ করা দেয়ালগুলো মধ্যযুগীয় প্রতিরক্ষা স্থাপত্যের দর্শনীয় উদাহরণ।