কুষ্টিয়াসভার নৌকাভ্রমণ

গড়াইয়ের শীতল পানিতে বন্ধুরা
গড়াইয়ের শীতল পানিতে বন্ধুরা


গড়াই নদে স্রোতের বিপরীতে নৌকা ছুটে চলেছে পদ্মা-গড়াইয়ের মোহনায়। সঙ্গে ছুটে চলছেন কুষ্টিয়া বন্ধুসভার বন্ধুরা। আড্ডা, গানে গড়াইয়ের পানির ঢেউয়ের স্রোতের প্রতিকূলে নৌকার ধীরগতি থাকলেও বন্ধুদের মধ্যে ছিল প্রাণচাঞ্চল্যকর উত্তেজনা। বন্ধুসভার সদস্যদের নিয়ে শেখ রাসেল ব্রিজের নিচ থেকে যাত্রা শুরু হয় শুক্রবার সকালে। আগেই নৌকা ঠিক করে রেখেছিলেন কুষ্টিয়া বন্ধুসভার সভাপতি মাহের মোহাম্মদ নাঈম। সকাল ১০টায় যাত্রা শুরু হলো।

বন্ধুসভার সব বন্ধুর মধ্যেই একরকম উত্তেজনা কাজ করছিল। ভ্রমণের শুরুতেই প্রথম আলো কুষ্টিয়া প্রতিনিধি তৌহিদী হাসান বন্ধুসভার বন্ধুদের নিয়ে নৌকাভ্রমণের যাত্রা শুরু করেন। নৌকায় প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করছিলেন বন্ধুরা। আনন্দঘন মুহূর্তগুলোকে ক্যামেরাবন্দী করতে ব্যস্ত সময় পার করছিলেন কুষ্টিয়া বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান। আড্ডা, গানে কখন যে গন্তব্যে পৌঁছে গেল নৌকা, তা কেউ আঁচ করতেই পারলেন না। নৌকা থেকেই সব বন্ধু গড়াইয়ের শীতল পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। এদিকে ভীতু সাব্বির পানিতে নামবেন না বলে বালুময় মাঠে দৌড় দিলেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি সাব্বিরের, বন্ধুরা তাঁকে জোর করে পানিতে নামান। পানির ওপর থেকে ক্যামেরা হাতে ফটোগ্রাফারের ভূমিকায় ছিলেন সোনিয়া।

এরই মধ্যে পিয়াসকে বালুতে মেকি সমাধিতে দিতে ব্যস্ত সময় পার করছিলেন জহির, মাহদী, সৈকত, নির্জন। বন্ধুসভার বন্ধু রজনী, মীম, ফাহমিদা, স্বর্ণা, কুমু, শিপলু, নাজমুল, সতেজসহ আরও অনেকেই ছিলেন এই আনন্দঘন মুহূর্তের সাক্ষী। বালুময় মাঠে সাইকেল নিয়ে চলছিলেন সৈকত, মেহেদীর ক্যারিশমা। দেখতে দেখতেই দুপুরের খাবারের সময় চলে এল। শুরু হলো মধ্যাহ্নভোজ। মধ্যাহ্নভোজের পরে বন্ধুসভার বন্ধুরা গানের আসরে মাতিয়ে তুলেছিলেন আশপাশের পরিবেশ। নৌকার মাঝি মামাও গানের আসরে যুক্ত হয়ে পরিবেশটাকে আরও উপভোগ্য করে তুলেছিলেন।
বিকেলের দিকে মধ্য আকাশে যখন মেঘের আনাগোনা চলছিল, তখন কুষ্টিয়ার পথে যাত্রা শুরু করলেন কুষ্টিয়া বন্ধুসভার বন্ধুরা।

প্রচার সম্পাদক, কুষ্টিয়া বন্ধুসভা