নুসরাত আমার বোন

সেদিন বিকেলবেলাটির কথা স্পষ্ট মনে আছে আমার -
দাই খুড়ি কপাট খুলে ফোকলা দাঁতে হেসে বলেছিল, ‘তোর বইন হইছে!’
সেদিন মায়ের মুখে বিজয়ের হাসি দেখেছিলাম।
কত মানত, কত কবিরাজ, রোজা, তাহাজ্জত
তারপর না আমার বোন নুসরাত!
বাবা নাম দিলেন -নুসরাত, মানে -বিজয়ী।
আর আজকের বিকেলটা একি বীভৎস ভয়ঙ্কর!
চারদিকে দেখি ঘোর অমানিশা, করুণ অন্ধকার,
আমার বোনের পবিত্র কায়া জ্বলে–পুড়ে ছারখার!
পুড়ে ছারখার বাংলাদেশ, অঙ্গার মায়ের আশা,
কোথায় যেন তলিয়ে যায়, ভায়ের ভালোবাসা।
সারা বাংলায় আজ শকুনের ছায়া,
নাগিনীরা আজ বুনে চলে মায়া,
হায়েনার খপ্পরে আমার এদেশ,
সারা বাংলায় শকুনির বেশ,
ঘৃণ্য ওরাই সর্বনাশা।
দুলক্ষ বীরাঙ্গনা চিৎকার করে কয় -
এটাই কি আমার ইজ্জতের দাম, স্বাধীনতা কোথায়?
আমার মতো হতভাগা ভাই তোমরা যারা আছ,
আরেকটিবার যুদ্ধে চলো, বাঁচার মতো বাঁচো।
শত স্বপ্নিল নুসরাত নাম বিজয়ী হবে সেদিন,
পুরুষ তুমি স্ব–ইচ্ছায় মানুষ হবে যেদিন।