এগিয়ে যাও

১৯ জুলাই ২০১৯।এই দিনটি আমার জীবনের বিশেষ দিনগুলোর মধ্যে অন্যতম।প্রথম আলো বন্ধুসভার দিনব্যাপী কর্মশালা ছিল এই দিন। সারাদিন ব্যাপী কোনো কর্মশালায় অংশগ্রহণ করলাম জীবনে এই প্রথম। এই প্রথম অভিজ্ঞতাই যে এতটা ভালো হবে কখনও ভাবিনি। আমাদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা আয়োজনের অন্যতম একটি দায়িত্বে ছিল। আমাদের এই বন্ধুসভার সবাই অনেক আন্তরিক।

সকালেই আমরা সবাই মজা করতে করতে রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমিতে উপস্থিত হই।এরপর সুশৃঙ্খলভাবে পরিচয় পত্র নিয়ে আসন গ্রহণ। এরপর সকল অতিথিসহ কর্মশালার মধ্যমণি দন্ত্যস রওশন ভাই উপস্থিত হন।ভাইয়ের আন্তরিকতা ছিল মুগ্ধ করার মতো। কর্মশালার শুরুতে পরিচয় পর্ব। এরপর ফাল্গুনী মজুমদারের সেশন শুরু। নিজে যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বিতর্কের সাথে যুক্ত হয়েছি,তাই এই সেশনটি অনেক উপভোগ করেছি।আমাদের বন্ধুসভার তাসনিম আপুর সাথে অন্য বন্ধুসভার এক আপুর বিতর্কে অনেক মজা পেয়েছি।এরপর সামিউল আজিজের উচ্চারণের সেশনে সবাই অনেক আনন্দ পেয়েছে।

তারপর বিরতিতে সকল বন্ধু একসাথে খাওয়াদাওয়া করি।আবার যখন উত্তম দাদার লিডারশিপের সেশন শুরু হল,তখন সত্যিই আরেকবার মুগ্ধ হলাম। নেতৃত্বের এমন সুন্দর ব্যাখ্যা সত্যিই আমাকে অবাক করেছে।মাহবুব পারভেজ ভাইয়ের ক্যারিয়ার বিষয়ক সেশন বুঝিয়ে দিল যে শুধু পড়াশোনা দিয়েই ক্যারিয়ার হয় না। আরিফ নিজামী ভাইয়ের নিরাপদ ইন্টারনেট বিষয়ক সেশনে তো প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষই হচ্ছিল না।এরপর আসে সবচেয়ে মজার মুহূর্ত,রওশন ভাইয়ের অণুকাব্য।যতবার ঐ মুহূর্তের কথা মনে পড়ছে, ততবারই হেসে ফেলছি। লেখক হওয়ার ক্ষেত্রে ভাইয়ের দেওয়া পরামর্শগুলো মনে গেঁথে আছে।

পুরো দিনটা কীভাবে কেটে গেল তা বুঝতেই পারলাম না।কত নতুন বন্ধুর দেখা পাওয়া, তাদের গুণ সম্পর্কে জানা, সত্যিই এক অন্যরকম অনুভূতি। আমাদের সবার একসাথে ফটোসেশনের মাধ্যমে একটি সুন্দর দিনের পরিসমাপ্তি ঘটলো। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি প্রথম আলো বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্যের প্রতি। বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, লেখক ও অণুকাব্যের জনক দন্ত্যস রওশন ভাইকে।আর আমাদের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম রকি ভাইয়ের প্রতিও কৃতজ্ঞতা তার অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য। সকল বন্ধুকে ধন্যবাদ জানাই তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে অবদানের জন্য। আবার এমন একটি দিনের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা